অনলাইন ডেস্ক : বাজেট অধিবেশনে শিক্ষা দফতর সম্পৰ্কিত এক বিতর্কে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দায়ে বিরোধী দুই বিধায়ককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি। বহিষ্কৃত দুই বিধায়ক যথাক্রমে কংগ্রেসের শেরমান আলি আহমেদ এবং এআইইউডিএফ বিধায়ক আশ্রাফুল হুসেন।
অসম বিধানসভায় শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের একাদশতম দিন কলিং অ্যাটেনশন সেশনের সময় শিক্ষা বিভাগে সংগঠিত কিছু অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাঘবরের কংগ্রেস বিধায়ক শেরমান আলি। রাজ্যের স্কুলগুলিতে অনুষ্ঠিত ‘গুণোৎসব’-এ মূল্যায়ন পদ্ধতিকে কেন্দ্ৰ করে ‘গুরুতর অনিয়ম’ সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এ ব্যাপারে সরকারের স্পষ্টীকরণ দাবি করছিলেন তিনি। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করে আহমেদ অভিযোগ করেন, বরপেটা জেলার অন্তৰ্গত মাণ্ডিয়ার একটি স্কুলে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন একজন চৌকিদার। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্পষ্টীকরণ দাবি করেন।
শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদের প্রশ্নের উত্তর দেন। কিন্তু মন্ত্রীর ব্যাখায় খুশি হতে পারেননি শেরমান। শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন বলে শেরমান উচ্চস্বরে, লম্ফঝম্ফ করে শিক্ষা বিভাগের তীব্র সমালোচনা করেন। অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি বার বার তাঁকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। তিনি বলেন, মন্ত্রী ইতিমধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাছাড়া কলিং অ্যাটেনশনে সম্পূরক প্রশ্নের কোনও বিধান নেই। অধ্যক্ষের কোনও অনুরোধ মানছেন না, বরং আরও অদম্য হয়ে সদনের কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে থাকেন শেরমান। তখন বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে এআইইউডিএফ বিধায়ক আশ্রাফুল হুসেন শেরমান আলির পক্ষালম্বন করে চেঁচিয়ে অধ্যক্ষকে জবাবদিহি করেন, কেন তিনি শেরমান আলি আহমেদকে বরখাস্ত করলেন? তিনি (শেরমান) রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে এমন একটি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয় উত্থাপন করেছেন। তখন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি আশ্রাফুল হুসেনকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কে, যে আমার সঙ্গে তর্ক করছেন?, আমার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলছেন? আপনাকেও সাসপেন্ড করা হলো।’ মার্শালরা বরখাস্ত দুই বিধায়কের আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের বাইরে নিয়ে যান। তবে ১০ মিনিটের মধ্যে কলিং অ্যাটেনশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদ এবং আশ্রাফুল হুসেনকে হাউসে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি।