অনলাইন ডেস্ক : শিলচর ডিএসএ-র ৩২ এজেন্ডার গভর্নিং বডির (জিবি) মিটিং শেষ হল শুরুর আগেই। সাত মাস পর মিটিংয়ের আয়োজন করেছে ডিএসএ-র বর্তমান কমিটি। তাও শহরের মানুষের যখন বন্যার তান্ডবে নাজেহাল অবস্থা। এই অবস্থায় ইটখলা এসি, মালুগ্রাম ক্লাব সহ আরও কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব জিবি সভা কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি রেখেছিল ডিএসএ কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তাদের আর্জি রাখা পত্র গ্রহন করাই প্রয়োজন মনে করেননি ডিএসএ-র সচিব অতনু ভট্টাচার্য। পত্র কেন গ্রহণ করলেন না? তার কাছে প্রশ্ন রাখলে অতনু বলেন, ‘একদিন আগে পাঠালে সেগুলি রাখা যেত। এখন মিটিং আয়োজনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ, অতএব চিঠি আর গ্রহণ করা যাবেনা।’
ডিএসএ কর্তৃপক্ষের একগুঁয়ে মনোভাবের মাসুল গুনতে হল শেষ পর্যন্ত। সভার শুরুতেই ডিএসএ সচিবকে চিঠি না রাখার কারন জানতে চান একাংশ সদস্য। মিটিং পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট যুক্তি তোলে ধরেন তারা। বন্যার কবলে পড়ে অনেকেই ঘর ছাড়া। কেউ আবার পরিজনদের উদ্ধারে ব্যস্ত। অনেক সদস্য আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় শহরের বাইরে গিয়ে আটকা পড়েছেন। কিন্তু কোনও যুক্তিরই ধার ধারেননি ডিএসএ-র সচিব। ফল স্বরূপ সভা পন্ড। ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্ত অবশ্য বলেন, এমুহূর্তে আমরা সভা পিছাতে পারছিনা, তবে সদস্যরা চাইলে সভা পিছানো যেতে পারে।
৩২ এজেন্ডার ম্যারাথন মিটিংয়ের স্থায়িত্ব অনেক বেশি হতে পারে। এটা মাথায় রেখে রাতে ডিনারের ব্যবস্থা রেখে ছিল ডিএসএ। কিন্তু অবুঝের মতো করা তাদের সব প্রয়াসই শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।