অনলাইন ডেস্ক : রবিবার রাতে তারাপুর শিববাড়ী রোডের রাইস মিলের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রাক্তন বিএসএনএল আধিকারিক প্রিয়রঞ্জন চন্দ। এরপর অনেকেই দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ কুমার দাসের বাইকের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছিল। তবে রাজেশের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, একটি কালো রঙের অজ্ঞাতপরিচয় স্কুটির ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জনের। ওই স্কুটি রাজেশকে ধাক্কা দেওয়ার পর প্রিয়রঞ্জনকে ধাক্কা দেয় এবং পালিয়ে যায়। ঘটনায় রাজেশ গুরুতরভাবে আহত হয় এবং সে এখন চিকিৎসাধীন। রাজেশের বাবা সুষেন কুমার দাস সোমবার তারাপুর থানায় একটি মামলা করেন এবং সেখানে তুলে ধরেন বিস্তারিত তথ্য। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে এদিন ধীরগতিতে মটরসাইকেল চালিয়ে আসছিল এবং হঠাৎ পেছন থেকে কালো রঙের স্কুটি এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর সেটি ধাক্কা দেয় পথচারী প্রিয়রঞ্জনকে। দুজনকেই গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় স্কুটির চালক। স্থানীয় অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন এবং তারা আমার ছেলে ও প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধার করেন। দুর্ভাগ্যবশত মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জনের এবং আমার ছেলে এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার মাথা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। ভেঙেছে কয়েকটি হাড়ও। অথচ আমরা দেখতে পেলাম কেউ কেউ আমার ছেলেকেই দোষ দিচ্ছেন। তারা বিষয়টি না জেনেই সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য পাঠিয়েছেন। আমার ছেলে যদি অপরাধী হতো, তার বিরুদ্ধে এতদিনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করত পুলিশ। সেটা হয়নি, বরং আমরা ওই অজ্ঞাত পরিচয় স্কুটি চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমরা পুলিশের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছি, তারা যেন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসল অপরাধীকে সনাক্ত করেন।’ সুষেন কুমার দাস জানিয়েছেন, তার ছেলে রাজেশের বয়স ২৯ বছর এবং সে এমএসসি পাস করার পর শিক্ষকতার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করার পর সে সরকারি চাকরির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশন করে নিজের খরচ চালায়। সে মদ্যপান করে না, মটরসাইকেল জোরে চালায় না এবং হেলমেট ব্যবহার করে। হেলমেট থাকায় এদিন সে প্রাণে বেঁচে যায়। রবিবার রাতে অনেকেই মূর্তি বিসর্জনের জন্য বেরিয়েছিলেন এবং এলাকায় ছিল প্রচুর জনসমাগম। রাইস মিলের পাশে হঠাৎ তাকে ধাক্কা দেয় দ্রুত গতিতে আসা কলো রঙের স্কুটি। আমরা গোটা বিষয়ে পুলিশের কাছে জানিয়েছি এবং তারা তদন্ত করছেন। তবে এনিয়ে কিছু মিথ্যে কথা ছড়ানো হয়েছে এবং আমার ছেলেকে দোষারোপ করা হয়েছে।’