অনলাইন ডেস্ক : যত কান্ড এবারের মাধ্যমিকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের দরুণ বিজ্ঞান পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। গণ টোকাটুকির পরিপ্রেক্ষিতে গণিরগ্রামের স্কুলে ইংরেজি পরীক্ষায় সেখানকার পরীক্ষাত্রীদের পুনরায় বসতে হবে ২৮ মার্চ। এবার বাঁশকান্দিতে এক ভিডিওকে ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার সিক রুমে এক শিক্ষক উত্তর লিখতে সাহায্য করছেন জনৈক শিক্ষক। ঘটনাচক্রে সেই শিক্ষক হলেন মেয়েটির বাবা। ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকের নাম আনোয়ারুল হক বড়ভূঁইয়া। তবে বাঁশকান্দি নেনা মিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুলের প্রিন্সিপাল সালেহ আহমেদ এসব অভিযোগকে সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী আনোয়ারুলের সঙ্গে ব্যক্তিগত রেশ মেটাতেই আরেক শিক্ষক বিকাশ পুরকায়স্ত এমনটা করেছেন। ব্যক্তিগত রেশটা কি? সালেহ আরও বলেন, মাসে একবার স্কুলে আসেন বিকাশ। সেজন্য আনোয়ারুল বিকাশকে সবধরনের পরীক্ষার ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাই এসব করেছেন বিকাশ।
এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ারুলকে সাসপেন্ড তো করা হয়েছেই। সেইসঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়ায় সাসপেন্ড করা হয়েছে আরেক শিক্ষক বিকাশকেও। এছাড়াও বহিস্কার করা হয়েছে ছাত্রীকেও।