অনলাইন ডেস্ক : শিলচর রেলস্টেশনকে বিশ্বমানের রেলস্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় আয়তন বৃদ্ধি পাবে প্রায় তিন থেকে চারগুণ। একথা জানিয়েছেন এন এফ রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্তা। সঙ্গে তিনি আরও জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষেই শিলচরে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎচালিত রেল ইঞ্জিন। শুক্রবার জেনারেল ম্যানেজার গুপ্তা পরিদর্শন করেন শিলচর রেলস্টেশন। পরিদর্শনকালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, এর জন্য সার্ভে ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে রেল বোর্ডের কাছে। রেল বোর্ডের অনুমোদন ক্রমে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, বিশ্বমানের রেলস্টেশনে থাকবে আনুষঙ্গিক বহু সুবিধা। এছাড়া স্টেশন হবে অনেকটা উঁচুও। আর এই কাজের জন্য আশপাশ এলাকায় রেলের জমি জবরদখলমুক্ত করতে কিছু উচ্ছেদও চালানোর প্রয়োজন হবে বলে তিনি জানান। কথার সূত্রে জেনারেল ম্যানেজার জানান, বিশ্বমানের স্টেশন গড়ে তুলতে গিয়ে পরিসর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামনের তারাপুরের রাস্তাও চওড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, এরজন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে।শিলচর-চন্দ্রনাথপুর ‘বাইপাস’ রেললাইন তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিগতদিনে এই লাইন তৈরির জন্য এক দফা সার্ভে করা হয়েছে। তবে এরপর পরিস্থিতি বদলে গেছে অনেকটাই। তাই ফের নতুনভাবে সার্ভে করে তৈরি করা হবে রিপোর্ট। এরপর রিপোর্ট অনুমোদন পেলেই শুরু করা হবে কাজ। শিলচরে বিদ্যুৎ চালিত রেল ইঞ্জিন কবে নাগাদ পৌঁছতে পারে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান পাহাড়লাইনে যেভাবে বিদ্যুতিকরণের কাজ চলছে এতে ২০২৩ সালের শেষভাগেই সাকার হয়ে যেতে পারে শিলচরবাসীর এই স্বপ্ন । জেনারেল ম্যানেজার গুপ্তা গুয়াহাটি থেকে রওনা হয়ে এদিন সকালে শিলচরে এসে পৌঁছান। পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে আরপিএফ-এর ‘স্যাগওয়ে’, ফুডপ্লাজা, রেল কলোনি সংলগ্ন শিশু উদ্যান, নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা সিসিটিভি কন্ট্রোলরুম ইত্যাদির উদ্বোধন করেন। এছাড়া পতাকা নেড়ে আরপিএফ-এর পেট্রোলিং-এর জন্য নিয়ে আসা যানেরও আনুষ্ঠানিক যাত্রারম্ভ করেন তিনি। শিলচরে তার এ দিনের পরিদর্শন পর্ব শুরু হয় সকাল ন’টা নাগাদ। এরপর পরিদর্শন সহ উদ্বোধন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যসূচি সেরে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি রওনা হয়ে যান। শিলচরে পরিদর্শন সেরে ফেরার পথে তিনি শালচাপড়া ইয়ার্ডও পরিদর্শন করেন।