অনলাইন ডেস্ক : বন্যার কবলে অসমের চার জেলা যথাক্রমে কাছাড়, ধেমাজি, লখিমপুর এবং কামরূপ মেট্রো। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে লখিমপুরের কয়েকটি বাড়িঘর। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। বন্যার জলে আবদ্ধ মানুষজনের উদ্ধারে মোতায়ন করা হয়েছে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-কে।
ফ্লাড রিপোর্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফআরআইএমএস)-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমে বর্ষা-মরশুমের প্রথম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চার জেলার ১৯টি গ্রামের ২০ হাজার ৯২৫ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩.৫০ হেক্টর কৃষিজমি। এফআরআইএমএস-এর রিপোৰ্টে জানানো হয়েছে, ধেমাজিতে মোট ১৫৭ জন বন্যার কবলে পড়েছেন। এর মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬১ জন মহিলা এবং ৩০ জন শিশু রয়েছে।
কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ফুলেফেঁপে উঠেছে অসমের প্ৰায় সব নদী উপ-নদী। ভেঙেছে বেশ কয়েকটি নদীবাঁধ। ভাঙা বাঁধ দিয়ে নদীর জল জনবসতি এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে।
এদিকে কাছাড় জেলার শিলচরে জাতীয় সড়ক, লিংক রোড, অম্বিকাপট্টি, সোনাই রোড, ন্যাশনাল হাইওয়ে সহ বিভিন্ন এলাকা আকস্মিক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শিলচর শহরের বিভিন্ন অংশে প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, লখিমপুর জেলায় মোট ২০,৭৬৮ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯,৬৯৮ জন পুরুষ, ৮,৬২২ জন মহিলা এবং ২,৪৪৮ জন শিশু। এই দুই জেলায় প্রভাবিত হয়েছে মোট ১,৭৮৭টি গৃহপালিত পশু। শতাধিক বাসগৃহ বন্যার জলে ভাসার পাশাপাশি বহু গৃহস্থ মহিলা-শিশু-বৃদ্ধবৃদ্ধাদের নিয়ে ঘরের ভিতরে আটকে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বহুজন তাঁদের পরিবার-পরিজন, গবাদি পশু ইত্যাদি নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।