অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার রাতে আগরতলা থেকে ফিরোজপুর গামি ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস ১৪৬১৯ নং ট্রেন বদরপুর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে যাত্রীরা ইঞ্জিন এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন। বর্ণিত ট্রেনের চারটি স্লিপার ক্লাস বগির রিজার্ভেশন টিকিট যাত্রীরা পূর্বে ক্রয় করেছিলেন। যথারীতি ট্রেন বদরপুর স্টেশনে পৌছাইলে পর যাত্রীরা টিকিট অনুযায়ী নিজ নিজ কামরায় বরাদ্দকৃত সিটে বসতে গেলে পর দেখতে পান হঠাৎ চারটি স্লিপার ক্লাস বগি কে জেনারেল বগি করে দিয়েছে রেল বিভাগ আর তাতে সাধারণ যাত্রীরা বসে আছেন। তখন ঐ বাগি গুলোর টিকিট ক্রয় করা যাত্রীদের বসার কোন ঠাঁই নেই। অতঃপর তারা বদরপুর স্টেশনে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তুলে ধরেন কিন্তু কোন সুদোত্তর পায় নি এবং তাদের কে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি।যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে স্টেশন প্রতিবাদ আরম্ভ করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোন সহযোগিতা করে নাই পরবর্তী তে ট্রেন অগ্রসর হতে শুরু করে। অবশেষে যাত্রীরা ইঞ্জিন এর সামনে দাঁড়িয়ে ট্রেন দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা করে আকাশ বাতাস মুখরিত করে রেল বিভাগ এর বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। রেল কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে পুলিশ দিয়ে বলপূর্বক যাত্রীদের ট্রেক থেকে সরিয়ে দিয়ে ট্রেন খানা ছেড়ে দেয়। তাতে শত শত ট্রেন যাত্রী পুরুষ মহিলা সহ শিশু গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেনি। তাদের দুর্ভোগ এর কথা শুনার কেউ নেই। পকেটের কড়ি ভেঙে অগ্রিম রিজার্ভিশন টিকিট ক্রয় করেও ট্রেন যাত্রা করার সুযোগ পাননি।বরাকের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে বদরপুর জংশনে জড়ো হয়ে ট্রেনে যাত্রার করার জন্য জমায়েত হয়েছিল এই রাতের বেলা তাদের কি উপায়। রেল বিভাগের এহেন দায়বদ্ধতা হীন কার্যকলাপের জন্য রেল বিভাগ এর উপর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।