অনলাইন ডেস্ক : বড়খলায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল এক মহিলা ও ১১ মাসের ফুটফুটে শিশু। মঙ্গলবার রাত ১১ টায় বড়খলার রায়পুর ইঅ্যান্ড়ড়ি বাধ দিয়ে যাওয়ার পথে একটি গাড়ি বরাক নদীতে পড়ে ড়ুবে যায় । বরাতজোড়ে গাড়ির চালক প্রাণে বাঁচলেও বুধবার নদী থেকে উদ্ধার স্ত্রী এবং ১১ মাসের শিশুর মরদেহ । জানা গেছে বড়খলার বুড়িবাইল তৃতীয় খন্ড়ের রইছ উদ্দিন বড়ভূঁইয়া তার স্ত্রী হেলি বেগম বড়ভূঁইয়া ও তার ১১ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে চিকিৎসককে দেখাতে গিয়েছিলেন । রাত ১১ টা নাগাদ রায়পুর ইঅ্যান্ড়ড়ি বাধ থেকে অ্যালটো গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বরাক নদীতে পড়ে ড়ুবে যায়। কোনোভাবে চালক বেরিয়ে আসলেও স্ত্রী শিশু কন্যা সহ গাড়ি নিখোঁজ ছিল। গাড়ি পড়ার শব্দ শোনে বরাক নদীতে থাকা মৎস্য শিকারীরা ছুটে আসেন। খবরটি মুহূর্তে চাউর হতেই শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ছুটে আসেন পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতোর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী । ছুটে আসে এসড়িআরএফ বাহিনী। পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতোর নেতৃত্বে রাত ভর এসড়িআরএফ বাহিনী নদীতে তল্লাশি চালালে নিখোঁজ অ্যালটো গাড়ি সন্ধান পায়নি। এক সময় এসড়িআরএফ বাহিনী ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। ভোররাতে তারা ছুটে যান শ্রীকোনা এক ড়ুবুরির বাড়িতে ছুটে যান। শেষপর্যন্ত রশির সাহায্যে নিখোঁজ গাড়ি সহ দুটি মরদেহ উদ্বার করা হয় । হেলি বেগম বড়ভূঁইয়া ও ১১ মাসের শিশু কন্যার মরদেহ পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে শত শত মানুষ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনাস্হ গাড়ির চালক রইছ উদ্দিন বড়ভূঁইয়াকে পুলিশ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা গেছে গাড়ি চালক রইছ উদ্দিন বড়ভূঁইয়া বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে । তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এত বড় দুর্ঘটনা সংগঠিত হলেও গাড়িতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি ।