অনলাইন ডেস্ক : স্টাফ মিটিঙয়ে উচ্চবাচ্য হওয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক সিনিয়র শিক্ষিকা । উধারবন্দ প্র্যাকটিসিং গভর্নমেন্ট সিনিয়র বেসিক স্কুলে শনিবার এ নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হল । স্কুলের স্টাফ মিটিংয়ে বচসা হওয়ায় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে স্কুলের কমনরুমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এখানকার সিনিয়র শিক্ষিকা । ঘটনাটি নিয়ে হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সহকর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ ওঠে যে এর জন্য দায়ী হলেন প্রধান শিক্ষক মুজিবুর হক বড় ভূঁইয়া। তিনি স্টাফ মিটিং কমনরুমে না করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন । কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা তা না মানায় প্রধান শিক্ষক সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা গেছে। এমনকী লাঠি নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারতে উদ্যত হন বলে জানা গেছে । স্কুলে এরকম একটা ঘটনার খবর পেয়ে এই প্রতিবেদক সেখানে পৌঁছে দেখতে পান যে কমনরুমের বেঞ্চে একজন শিক্ষিকা ছটফট করছেন এবং তাকে ঘিরে রেখেছেন সতীর্থরা, সবার চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ । কেউ কেউ কান্নাকাটিও করছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়া সেই শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ুও শুরু হয়। কেন এমন হল , এর জবাবে সবাই প্রধানশিক্ষক মজিবুর রহমান বড়ভুইয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জানান, মজিবুর স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখানকার শৈক্ষিক পরিবেশ লাটে উঠেছে । তিনি কারোর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননা । আজ তিনি স্টাফ মিটিং ডাকলে সবাই বলেন যাতে টিচার্স কমনরুমে তা করা হয় । কিন্তু মজিবুর গোঁ ধরেন যে মিটিং তাঁর কক্ষেই করতে হবে ।
এনিয়ে তর্ক বিতর্ক ক্রমে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে । তিনি এক শিক্ষককে নাকি লাঠি বের করে মারতে যান । এসব কাণ্ড দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা ।উল্লেখ্য , মজিবুর রহমানের এ স্কুলে নিযুক্তি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি । এক অর্থে তাকে “চরম বিতর্কিত” বলা যেতে পারে । গত নভেম্বরে তাকে এক চরম বিক্ষোভের মধ্যে জোর করে জয়েনিং দেন তৎকালীন ডি আই । মুচলেকা দিয়ে কাজে যোগ দেন মজিবুর। তিনি লিখিত আশ্বাস দেন যে ভবিষ্যতে তাঁকে নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তিনি দায়ী থাকবেন । কিন্তু শনিবার মজিবুরকে নিয়েই ফের সমস্যার সাক্ষী হল উধারবন্দ। অন্যদিকে মজিবুর আজ গোটা ঘটনাকে “নাটক” আখ্যা দিয়ে বললেন , এর পেছনে এখানকার দু তিনজন শিক্ষকের কায়েমি স্বার্থ জড়িত আছে ।এরাই ঝামেলা পাকানোয় মদত দিচ্ছেন। গুণোতসবের ফলাফল খারাপ হওয়ায় তিনি কিছু “ঢিলে” শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে চেয়েছেন বলেই ওই মহল তার বিরুদ্ধে মগজধোলাই শুরু করেছে ।