অনলাইন ডেস্ক : ভগবান রাম নয়, সবার আগে বাবরকে প্রণাম জানাবে গান্ধী পরিবার। পাপমোচনের সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ, কিন্তু সেই সুযোগ নেয়নি কংগ্রেস, আর কীভাবে তাদের সাহায্য করা যায়? অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করায় জাতীয় কংগ্রেসকে এভাবে ঠুকেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গান্ধী পরিবার কাকে অগ্রাধিকার দেয়, সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এ ভাবেই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, এই পরিবার প্রভু রামকে নয়, তার আগে মুঘল সম্রাট বাবরকে শ্রদ্ধা জানাবে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শৰ্মা বলেন, এত পাপের পর, এই পাপমোচন করতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় উপস্থিত থাকতে তাঁদের সুযোগ দিয়েছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ। কিন্তু পাপমোচনের এই সুবর্ণ সুযোগকে তাঁরা সপাঠ প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। তাঁরা চান না, পাপমুক্ত হোন। তবে যাঁরা অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছিল, তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তই ভুল ছিল বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, এর চেয়ে যাঁরা ভগবান শ্রীরামের প্রতি বিশ্বাসী তাঁদেরই কেবল আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা কে কাকে মানেন, তা কেউ জানেন না। যদি বাবর ও ভগবান শ্রীরামের ছবি পাশাপাশি রেখে দেওয়া হয়, তা-হলে কংগ্ৰেস তথা গান্ধী পরিবার প্রথমে বাবরকেই প্রণাম করবে, রামকে নয়। এতে আশ্চর্যের কিছুই নেই। তাই তিনি মনে করেন, এ ধরনের মানুষ যাবেন না, তাতে ভালোই হবে। না হলে আবহাওয়া দূষিত হয়ে যেত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই জানেন, জওহরলাল থেকে রাহুল গান্ধী পর্যন্ত, এই পরিবারের সবাই আফগানিস্তানে বাবরের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাই এটা নিশ্চিত, বাবরের প্রতি তাঁদের অগাধ ভালোবাসা আজও বিদ্যমান, প্রভু শ্রীরামের প্রতি কোনও আস্থাই নেই।
প্রসঙ্গত, এর আগে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ২০০৫ সালে আফগানিস্তানে বাবরের সমাধিস্থলে রাহুল গান্ধীর একটি ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কেন রাম লালার প্রতি আপনাদের এত ঘৃণা? কেন হিন্দুদের এত ঘৃণা করেন আপানারা?’