অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জ শহরের পুর কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে গরমিলের কথা স্বীকার করলেন পুরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব । সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি জানান, যাদের দিয়ে কর নির্ধারণের কাজ করা হয়েছে এরা কিছু গরমিল করেছে । কিন্তু এ নিয়ে শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অভয় দেন তিনি । পুরপতি বলেন নতুন হারে ট্যাক্স তৈরি করতে গিয়ে সমস্যা থাকতে পারে । এরকম কিছু হলে সাদা কাগজে দরখাস্থ দিলেই সেটা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরপতি বলেন রেসিডেনশিয়াল এবং কমার্শিয়ালের জন্য ট্যাক্স নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেটা কমিয়ে সরকারের কাছে নতুন হারে ট্যাক্সের বিষয় বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের তরফে পাঠানো হয়েছে। সরকারি ভাবে দুটি ক্ষেত্রে যেহারে ট্যাক্স বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে সেটা হল এআরভি ৭.৫ শতাংশ। গৃহকর ২.৫, লাইট ২, আরবান ৩ শতাংশ। এছাড়া জল এবং সেনিটারি কর ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পুরসভার তরফে সরকারি নির্দেশকেই প্রায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে। তবে পুরসভার তরফে এআরভি ৬, গৃহ ২.৫, লাইট ১, জল ১, আরবান ৩ এবং সেনিটারি ট্যাক্স ১ শতাংশ করে গুয়াহাটি পাঠানো হয়েছে। পুরপতি জানান, মানুষের যাতে কোনধরণের অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কারো কোনো সন্দেহ থাকে তবে পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ।পুরসভার কার্যবাহী আধিকারিক বিক্রম চাষা বলেন, করিমগঞ্জ পুরসভার শেষবারের মতো এসেসমেন্ট হয়েছিল ১৯৯২ সালে। প্রায় ত্রিশ বছর পর এবার এসেসেমেন্ট হয়েছে। দশ হাজারের বেশি এসেসমেন্ট করে তাদের ট্যাক্স নতুন হারে ধার্য করতে গিয়ে যদি ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সেটা পুরসভার নজরে আনলে তাৎক্ষণিকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। তিনি জানান এপ্রিল মাস থেকেই নতুন হারে টেক্স দিতে হবে। অভিযোগ গ্রহণ করা হবে ২০ মার্চ অবদি। এরপর আর তা গ্রহণ করা হবে না। উপপুরপতি সুখেন্দু দাস বলেন , মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আরও রেহাই দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা জানান তিনি। বলেন নাগরিকদের উপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে তার ব্যবস্থা করা হবে। তবে ট্যাক্স বাড়লে পুরসভার আয় বাড়বে। আর তখন বেতন প্রদান সহ নানা সুবিধা হবে বলে তিনি জানান।