অনলাইন ডেস্ক : পুরকর নিয়ে সরগরম করিমগঞ্জের রাজনীতি । শাসক বিরোধী তরজা ক্রমশ কমে উঠেছে । এরই মাঝে শহরবাসীকে আবারও অভয়দান করলেন পুরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব । রবিবার দলীয় কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পুরপতি বলেন, পুরসভা আহুত নাগরিক সভা সার্থক হয়েছে। পুরসভার গৃহ কর চূড়ান্ত করার আগে আবারও ডাকা হবে নাগরিক সভা। গৃহ করের অভিযোগ জানাতে আর পুরসভা কার্যালয়ে ছুটে আসতে হবে না । নাগরিকদের সুবিধার্থে ফর্ম সব ওয়ার্ড কমিশনারদের কাছে দেওয়া হয়েছে। নাগরিকরা সেখান থেকে ফর্ম নিয়ে অভিযোগ লিখে আবার কমিশনারের কাছে জমা দিতে পারবেন । কমিশনাররা কার্যালয়ে জমা করার পর সব অভিযোগ যাচাই করে দেখা হবে। তিনি জানান, ট্যাক্স যতটুকু সম্ভব কম করার সব পদক্ষেপ নেবে পুরসভা। নাগরিকদের সুবিধার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে । মানুষ বিজেপির হাতে পুরসভার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। মানুষের স্বার্থে পুরসভা কাজ করবে। পুরপতি বলেন, কিছু লোক মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যা অশুভ। বলেন ট্যাক্স এবং পুর নাগরিকদের বিষয়ে অন্যকে মাথা ঘামাতে হবে না। পুরসভা নাগরিকদের সঙ্গে রয়েছে এবং তাদের সুবিধার জন্য কাজ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রি- এসেসমেন্ট দরকার হলে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ করতে তৈরি পুরসভা । মানুষের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আরও বেশি করা হতে পারে বলে তিনি জানান। পুরপতি জানান, সব পুর কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রি- এসেসমেন্টের পর ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর নাগরিক সভা ডাকা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে। ওই কমিটিতে রয়েছেন পুরপতি রবীন্দ্র চন্দ্র দেব, সাংসদ কৃপানাথ মালা, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সতু রায়, এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সাহা। পুরপতি বলেন শহরের মানুষ কর দিতে রাজি। তবে দীর্ঘ একত্রিশ বছর পর নতুন করে গৃহকর ধার্য হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে মানুষের উপর কর কোনভাবেই বোঝা হবে না। উপ পুরপতি সুখেন্দু দাস জানান শহরে দশ হাজার তিনশটি হোল্ডিংয়ের নতুন খসড়া ট্যাক্স ধার্য হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮০ টি হোল্ডিংয়ে ট্যাক্স পড়েছে দশ থেকে বিশ হাজারের মধ্যে। আর ২০৪ টি হোল্ডিংয়ে বিশ থেকে পঞ্চাশ হাজারের মধ্যে ট্যাক্স পড়েছে। এরমধ্যে সরকারি কার্যালয় সহ রয়েছে বড় বড় সব বিল্ডিং। তবে রি এসেসমেন্ট হবে বলে জানান। অন্যদিকে ছন্তর বাজার এবং পিডব্লুডি রোডের বাজার নিয়ে পুরপতি বলেন, ওখানটায় রাস্তার উপরে বসে যারা সবজি সহ অন্যান্য সামগ্রি বিক্রি করেন তাদের কাছ থেকে পুরসভা কোনও কর আদায় করে না। কিন্তু পুরসভার নাম করে কর আদায় হচ্ছে বলে তার কাছে অভিযোগ এসেছে। তিনি ওই সকল ব্যবসায়ীদের কাউকে কর না দিতে বলেছেন। এদিন অন্যান্য কমিশনার দের মধ্যে, ছন্দা রায় সিং, বর্ণালী দত্ত, বিক্রম দাস, জয়শ্রী চক্রবর্তী, বিন্দিয়া পাল, নির্মল বণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।