অনলাইন ডেস্ক : পত্নীকে নিয়ে পালিয়েছে প্রতিবেশী, আর এতে রাগে অভিমানে গলায় ফাঁস লেগে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ধলাই থানা এলাকার পালংঘাট পুলিশ ফাঁড়ির অন্তগত পূর্ব ধলাইর দর্মিখাল জিপির রুকনি চতুর্থ খণ্ড ( উজানগ্রাম) গ্রামে বুধবার। এদিকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এদিন দর্মি উজানগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ পালংঘাট পুলিশ সমচিত ব্যবস্থা না নেওয়াতে আত্মঘাতী হওয়ার মতো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৬ এপ্রিল প্রতিবেশী পরেশ রায়ের বিবাহিত ছেলে দুই সন্তানের জনক প্রীতম রায়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় দর্মি উজানগ্রামের আত্মঘাতী ধীরেন রায়( ৪০) – র পত্নী দুই সন্তানের জননী প্রতিমা রায়। পরে বিষয়টি জানিয়ে পরদিন পালংঘাট পুলিশ ফাড়িতে প্রীতম রায়কে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন আত্মঘাতী ধীরেন রায়। এদিকে বুধবার ভোরে বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর এতে প্রতিবেশীর সঙ্গে পত্নী পালিয়ে যাওয়াতে সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। সঙ্গে পালংঘাট পুলিশ সমচিত ব্যবস্থা নিলে হয়তো আত্মঘাতীর ঘটনা না ঘটতে পারতো বলে গ্রামবাসী ও আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ। এদিন দোষী প্রীতম রায়কে গ্রাফতার না করা পর্যন্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিতে দেওয়া হবে না বলে প্রথমে প্রতিবাদ করা হলেও পরে সোনাই সার্কেল ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ ছেত্রীর আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে গ্রামবাসী দের আশ্বস্ত করেন। শেষে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিততে ধীরেন রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করে পালংঘাট পুলিশ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জোড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
তবে প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মঘাতীর ঘটনা মনে হলেও অন্যকিছু রয়েছে কিনা তার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।