অনলাইন ডেস্ক : এক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়াকে ঘিরে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শিলচর এনআইটি। উত্তেজিত পড়ুয়ারা
“ফ্যাকাল্টি”-দের আবাসনে হামলা চালিয়ে সবকিছু তছনছ করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে গেলে তাদেরও উত্তেজিত পড়ুয়াদের রোষের মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা রক্ষীদের লাঠি চালাতে হয়। এতে আহত হয় কয়েকজন পড়ুয়া। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করে পড়ুয়াদের আগামীকালই বাড়ি চলে যাবার নির্দেশ জারি করেছেন।
জানা গেছে আত্মঘাতী পড়ুয়ার নাম কোচ বুকার। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ুয়া বুকারের বাড়ি অরুণাচল প্রদেশে। তিনি থাকতেন এনআইটির ৭ নম্বর হোস্টেলে। এদিন দুপুরে হোস্টেলের কক্ষে গলায় ফাঁস পরানো অবস্থায় তার মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। আর সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি হয়ে পড়ে অগ্নিগর্ভ, ঘটে যায় ধুন্দুমার কান্ড।
দুপুরে বুকারের মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়ার পরই জমায়েত হতে থাকে বিভিন্ন হোস্টেলের পড়ুয়ারা। সন্ধ্যার পর কয়েক শত পড়ুয়া দলবেঁধে মিছিল করে এগিয়ে যায় ফ্যাকাল্টিদের আবাসনের দিকে। পড়ুয়ারা অভিযোগ করতে থাকে, বুকার আত্মঘাতী হওয়ার জন্য দায়ী ডিন (একাডেমিক) বি কে রায়। তাকে হত্যাকারী বলে অভিহিত করে পড়ুয়ারা তার আবাসনে ভাংচুর চালায়। বি কে রায়ের আবাসনে ভাঙচুর চালিয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেওয়ার সঙ্গে তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। একইভাবে আশপাশের অন্যান্য কয়েকটি আবাসনেও পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরের দরুন ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্য দুটি আবাসনে থাকা আরও দুটি গাড়ি। ভাঙচুর করা হয় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সংবাদ কর্মীর গাড়িও।
পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালিয়ে বিকে রায়ের আবাসন ঘেরাও করে রাখে। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, বুকারের বিভিন্ন সেমিস্টারের ১৩টি পেপারে “ব্যাক” ছিল। এ নিয়ে সে বি কে রায়ের সঙ্গে কথা বলে এসব পেপার “ক্লিয়ার” করার পথ দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছিল । কিন্তু বি কে রায় তার প্রতি কোনও ধরনের সহমর্মিতা না দেখিয়ে, উল্টে দুর্ব্যবহার করে অপমানিত করেন। এর জেরে হতাশ হয়ে আত্মঘাতী হয় বুকার।
ঘটনার কথা খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। হাজির হন পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো এবং জেলাশাসক রোহণ কুমার ঝা সহ পুলিশ এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরাও। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝানোর চেষ্টা চালালেও তারা এসব শুনতে রাজি ছিল না। বি কে রায়কে গ্রেফতার, তাকে শিলচর এনআইটি থেকে অপসারণ, মৃত বুকারের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, ভবিষ্যতে আর বুকারের মত যাতে কাউকে আত্মঘাতী না হয় এর জন্য যে সব পড়ুয়ার ব্যাক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করে তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার অনেক বুঝালেও পড়ুয়ারা সরে যেতে রাজি হয়নি। এসবের মাঝে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ হঠাৎ করে কেউ একজন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিদের লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারে। বোতল এসে লাগে পুলিশ সুপারের শরীরে। এরপর পুলিশ শুরু করে লাঠিচার্জ। এতে আহত হয় ৫-৬ জন পড়ুয়া। এসবের মাঝেই পুলিশ পড়ুয়াদের তাড়া করে ঢুকিয়ে দেয় হোস্টেলে। হোস্টেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হলেও দেখা যায় পড়ুয়ারা বারান্দা ও অন্যান্য স্থানে জোট বেঁধে রয়েছে। মাঝে মাঝে টহলরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়ে পাথরও। এসবের মাঝে পড়ুয়ারা সরে যাওয়ার পর পুলিশ আবাসনে আটকে থাকা ডিন বি কে রায় এবং তার পরিবারের লোকেদের সরিয়ে নিয়ে যায়।
রাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এনআইটিতে রয়েছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেন এনআইটির ডিরেক্টর দিলীপ কুমার বৈদ্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে। আর গোটা চত্বর জুড়ে চলতে পুলিশি জহলদারি। এসবের আগে কোচ বুকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
“ফ্যাকাল্টি”-দের আবাসনে হামলা চালিয়ে সবকিছু তছনছ করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে গেলে তাদেরও উত্তেজিত পড়ুয়াদের রোষের মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা রক্ষীদের লাঠি চালাতে হয়। এতে আহত হয় কয়েকজন পড়ুয়া। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করে পড়ুয়াদের আগামীকালই বাড়ি চলে যাবার নির্দেশ জারি করেছেন।
জানা গেছে আত্মঘাতী পড়ুয়ার নাম কোচ বুকার। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ুয়া বুকারের বাড়ি অরুণাচল প্রদেশে। তিনি থাকতেন এনআইটির ৭ নম্বর হোস্টেলে। এদিন দুপুরে হোস্টেলের কক্ষে গলায় ফাঁস পরানো অবস্থায় তার মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। আর সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি হয়ে পড়ে অগ্নিগর্ভ, ঘটে যায় ধুন্দুমার কান্ড।
দুপুরে বুকারের মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়ার পরই জমায়েত হতে থাকে বিভিন্ন হোস্টেলের পড়ুয়ারা। সন্ধ্যার পর কয়েক শত পড়ুয়া দলবেঁধে মিছিল করে এগিয়ে যায় ফ্যাকাল্টিদের আবাসনের দিকে। পড়ুয়ারা অভিযোগ করতে থাকে, বুকার আত্মঘাতী হওয়ার জন্য দায়ী ডিন (একাডেমিক) বি কে রায়। তাকে হত্যাকারী বলে অভিহিত করে পড়ুয়ারা তার আবাসনে ভাংচুর চালায়। বি কে রায়ের আবাসনে ভাঙচুর চালিয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেওয়ার সঙ্গে তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। একইভাবে আশপাশের অন্যান্য কয়েকটি আবাসনেও পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরের দরুন ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্য দুটি আবাসনে থাকা আরও দুটি গাড়ি। ভাঙচুর করা হয় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সংবাদ কর্মীর গাড়িও।
পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালিয়ে বিকে রায়ের আবাসন ঘেরাও করে রাখে। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, বুকারের বিভিন্ন সেমিস্টারের ১৩টি পেপারে “ব্যাক” ছিল। এ নিয়ে সে বি কে রায়ের সঙ্গে কথা বলে এসব পেপার “ক্লিয়ার” করার পথ দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছিল । কিন্তু বি কে রায় তার প্রতি কোনও ধরনের সহমর্মিতা না দেখিয়ে, উল্টে দুর্ব্যবহার করে অপমানিত করেন। এর জেরে হতাশ হয়ে আত্মঘাতী হয় বুকার।
ঘটনার কথা খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। হাজির হন পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো এবং জেলাশাসক রোহণ কুমার ঝা সহ পুলিশ এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরাও। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝানোর চেষ্টা চালালেও তারা এসব শুনতে রাজি ছিল না। বি কে রায়কে গ্রেফতার, তাকে শিলচর এনআইটি থেকে অপসারণ, মৃত বুকারের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, ভবিষ্যতে আর বুকারের মত যাতে কাউকে আত্মঘাতী না হয় এর জন্য যে সব পড়ুয়ার ব্যাক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করে তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার অনেক বুঝালেও পড়ুয়ারা সরে যেতে রাজি হয়নি। এসবের মাঝে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ হঠাৎ করে কেউ একজন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিদের লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারে। বোতল এসে লাগে পুলিশ সুপারের শরীরে। এরপর পুলিশ শুরু করে লাঠিচার্জ। এতে আহত হয় ৫-৬ জন পড়ুয়া। এসবের মাঝেই পুলিশ পড়ুয়াদের তাড়া করে ঢুকিয়ে দেয় হোস্টেলে। হোস্টেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হলেও দেখা যায় পড়ুয়ারা বারান্দা ও অন্যান্য স্থানে জোট বেঁধে রয়েছে। মাঝে মাঝে টহলরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়ে পাথরও। এসবের মাঝে পড়ুয়ারা সরে যাওয়ার পর পুলিশ আবাসনে আটকে থাকা ডিন বি কে রায় এবং তার পরিবারের লোকেদের সরিয়ে নিয়ে যায়।
রাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এনআইটিতে রয়েছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেন এনআইটির ডিরেক্টর দিলীপ কুমার বৈদ্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে। আর গোটা চত্বর জুড়ে চলতে পুলিশি জহলদারি। এসবের আগে কোচ বুকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।