অনলাইন ডেস্ক : শ্রীভূমি জেলার নিলামবাজারে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। লাভ জিহাদ সংক্রান্ত একটি মামলায় ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে নিলামবাজার থানা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিজেপি ও অগপ নেতাদের দিকে। পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তবে প্রশ্ন উঠছে—এখন পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? সম্প্রতি সময়ে নিলামবাজার ন্যাশনাল একাডেমিতে লাভ জিহাদ সংশ্লিষ্ট এক গুরুতর ঘটনা সংঘটিত হয়, যার বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রথম এফআইআরে একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবু সিদ্দিকি অভিযুক্ত ছিল, আর দ্বিতীয় এফআইআরে একইসঙ্গে ন্যাশনাল একাডেমির অধ্যক্ষ লুতফুর রহমান ও শিক্ষিকা আবিদা আখতারের নামও উল্লেখ করা হয়। এফআইআরের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, নিলামবাজার থানা কমিটির চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকার নাম এফআইআর থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করা হয় এবং মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকি ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।এমন চাঞ্চল্যকর কান্ডটি সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হয়ে পড়তে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখে এই লেনদেনের খবর গোপন রাখা সম্ভব হয়নি। হঠাৎই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের বিষয়টি, যেখানে পুলিশের অভিযানের কথাও উঠে আসে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের তৎপরতা বেড়ে যায়।এমন কি পুলিশি চাপে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বাদ্য হয় বলে খবর। এমন বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা তীব্র হওয়ার পর পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। ফলস্বরূপ, থানা কমিটির চেয়ারম্যান অভিজিৎ রায় ওরফে রাজা ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।এদিকে শ্রীভূমি জেলা জুড়ে এই চাঞ্চল্যকর লাভ জিহাদ মামলাটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার দাবিতে বিজেপি নেত্রী শিপ্রা গুন, জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যসহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা শ্রীভূমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেন। তারা মামলায় জড়িত সকলের কঠোর তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানান।এখন প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, নাকি এই ঘটনার নিষ্পত্তি ভিন্ন পথে করা হবে? নিলামবাজারবাসী এখন পুলিশের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রেখে অপেক্ষা করছে।