অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য কাছাড়ে এসে পৌছালো ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলিশের উচ্চপদস্থ সূত্রে জানা গেছে, যে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে এর মধ্যে রয়েছে বিএসএফ, সিআরপিএফ ও আইটিবিপি। সূত্রটি জানান, এই ১৪ কোম্পানির অতিরিক্ত হিসেবে আরও নিরাপত্তারক্ষী এসে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে আসাম পুলিশ তো থাকছেই।
জানা গেছে নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে সোমবার শিলচরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভাগীয় আধিকারিকদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ওই বৈঠকে, কোন কোন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হবার আশঙ্কা রয়েছে এ নিয়ে আলোচনা করে সেসব এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই বিগত দিনের রেকর্ডের ভিত্তিতে জেলার ২৫টি এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে নজরদারি শুরু করেছে। এদিন এর অতিরিক্ত হিসেবে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমকে ঘিরে যেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হবার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিগত দিনের রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রায় ১৫০ জন ভোটগুন্ডাকে শনাক্ত করেতা দের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে হাঙ্গামায় জড়িয়েছেন, এমন লোকেদেরই ভোট গুন্ডা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে প্রশাসনের এক সূত্রে জানা গেছে, শিলচর লোকসভা এলাকায় এবার মোট ১৫৫১ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮টিকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের দিকে ভোটে বিশেষ নজরদারি থাকবে। সূত্রটি জানান, বিগত নির্বাচন গুলিতে গন্ডগোল হয়েছে বা ভোটদানের হার অস্বাভাবিক হারে বেশি এমন ভোটকেন্দ্র গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে স্পর্শকাতর হিসেবে। এসব ভোটকেন্দ্রে এবার মাইক্রোঅবজারভার নিযুক্ত করা, ভিডিও রেকর্ডিং সহ অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।