অনলাইন ডেস্ক : সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে সুপর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব।,তবুও যক্ষারোগীদের নিয়ে সমাজে রয়ে গেছে একটা অহেতুক ভয় ও কুসংস্কার । যার দরুন অনেক ক্ষেত্রেই এমন রোগীদের বিবাহ বিচ্ছেদ বা স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে । শুক্রবার শিলচরে বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে জেলা স্বাস্থ্য সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বেগ ঝরল এনিয়ে।
সতীন্দ্র মোহন দের সিভিল হাসপাতালের সভা কক্ষে এদিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা যক্ষা নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক ডা: রত্না চক্রবর্তী পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ২০২০ সালে দেশে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হওয়ার দরুন এক লক্ষ পড়ুয়াকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে যক্ষা রোগীদের বিবাহ বিচ্ছেদের ,হারও খুবই উদ্বেগ জনক। যদিও এমনটা হওয়া মোটেই কাম্য মনে হয়। সময় মত চিকিৎসা করা হলে যক্ষারোগীরা সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন। তিনি আরও জানান, কাছাড়ে বর্তমানে সরকারি হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় এক হাজার যক্ষা রোগী।
যক্ষা রোগের লক্ষণ নিয়ে তিনি জানান দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশিতে ভোগা, বারবার জ্বর আসা, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধা না লাগা, রাতে ঘেমে যাওয়া এবং কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকলেই নিকটবর্তী যক্ষা রোগ চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, অনেক যক্ষা রোগীই কয়েক মাস চিকিৎসা করানোর পর কিছুটা সুস্থ হলেই চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। যা মোটেই ঠিক নয়। এতে উল্টে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই চিকিৎসা শুরুর পর সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা জরুরী।অনুষ্ঠানে অন্যান্যরাও যক্ষা মুক্ত দেশ গড়ার উপর জোর দেন।
ডিসট্রিক্ট এডিশনাল চিফ মেডিকেল এন্ড হেলথ অফিসার ( এফ-ডব্লু) ডা: পি কে রায়ের পৌরহিত্যে এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা: আশুতোষ বর্মন, ডা: সুব্রত নন্দী, ডা: কুনাল নাথ, ডা: গৌতম বনিক, ডা: মঞ্জুরুল হক, ডা: রুপম দাস ও লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন চিকিৎসক, কমিউনিটি হেলথ অর্গানাইজার, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, আশা কর্মী এবং এ এন এম নার্সদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের আগে সিভিল হাসপাতাল থেকে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রেলি বের করা হয়। প্রেম তলা পর্যন্ত গিয়ে রেলি ফের ফিরে এসে সমাপ্ত হয় রাঙ্গির খাড়িতে।