সাময়িক প্রসঙ্গ, লক্ষীপুর, ১৬ ডিসেম্বর : বিধায়ক, স্থানীয় জনগণ, জেলা প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে বাশকান্দিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভবন নির্মাণ চলছে। সরকারি কোষাগার থেকে যার বরাদ্দ ৯২ লক্ষ,৪৮ হাজার ৮৪০ টাকা। কাজের বরাত পেয়েছে গুয়াহাটির মেসার্স উইনার এন্টারপ্রাইজ। বিগত প্রায় দেড়মাস থেকে নির্মাণ কাজ চলছে। বিগ বাজেটে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ চলছে বাশকান্দিতে। নেই কোন সাইনবোর্ড। স্থানীয় বিধায়ক কৌশিক রাই পর্যন্ত জানেন না এই ভবন নির্মাণের কথা।
সব পক্ষকে অন্ধকারে রেখে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ভবন নির্মাণের খবর পান বিধায়ক কৌশিক রাই। তিনি নির্মীয়মান ভবনটি গত মঙ্গলবার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে নিজেই প্রত্যক্ষ করেন ভবন নির্মাণে দূর্নীতি নয়, যেন ডাকাতি চলছে। সর্বাবস্থায় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে এই ভবনের সম্পূর্ণ দেওয়াল ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। বিধায়কের চড়া সুরে বিপাকে পড়ে যান কৃষি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ সংস্থা মেসার্স উইনার এন্টারপ্রাইজকে পত্র প্রেরণ করে জানিয়ে দেন।
এই পত্রে কাছাড় জেলা কৃষি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার নির্মাণ সংস্হাকে বলেন, স্থানীয় বিধায়কের পরিদর্শনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মারাত্মক দূর্নীতি ধরা পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ করা কাজ ভেঙে উন্নত মানের সামগ্রী ব্যবহার করে পুনরায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। বিধায়কের চাপে কৃষি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার নির্মাণ সংস্থাকে এই নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন। নির্মাণ সংস্থার নিয়োজিত কাজের মিস্ত্রিরা গত মঙ্গলবার রাত থেকে দেওয়াল ভাঙার কাজ শুরু করেছেন। বিধায়ক কৌশিকের এই দূর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বাশকান্দির মানুষ। কৃষি বিভাগ এবং নির্মাণ সংস্থার স্বত্বাধিকারী যৌথ ভাবে ৯২ লক্ষ টাকার ভবন নির্মাণে চুপিসারে অধিক মুনাফা আদায়ের কৌশলে ছিলেন। সেই অধিক মুনাফা আদায়ের কৌশলে জল ঢেলে দিলেন বিধায়ক কৌশিক রাই। বিধায়কের চড়া সুরে এখন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার ঘনঘন কাজের পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিধায়কের নির্দেশে শুক্রবার দুপুরে এই নির্মাণ স্হল পরিদর্শন করেন বিজেপি লক্ষীপুর মন্ডলের সভাপতি সঞ্জয় ঠাকুর, বাশকান্দি মন্ডলের সভাপতি গুনমনি সিংহ, জেলা বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার কোষাধ্যক্ষ আইনজীবী আজাদ হোসেন চৌধুরী, সকিল আহমদ বড়ভূইয়া প্রমুখ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিভাগের দুজন কর্মী। তারা বলেন, নিম্নমানের কাজগুলো ভেঙে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।