অনলাইন ডেস্ক : মণিপুর রাজ্যে প্রবেশ করতে ইনারলাইন পারমিট নিয়ে যেতে হয়। একই দেশের অঙ্গরাজ্য মণিপুর। দেশের অঙ্গরাজ্যে প্রবেশ করতে অন্য রাজ্যের মানুষকে ইনারলাইন পারমিট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে এটা কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া যায়না বলে মত ব্যক্ত করেছেন আমরা বাঙালির রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ। তিনি বলেন,মণিপুরে ইনারলাইন পারমিট নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলছে।সেই মামলার রায়ে ইনারলাইন পারমিট থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পেতে পারেন বলে আশাবাদী সাধন পুরকায়স্থ। তিনি বলেন,বর্তমানে বরাক উজানে বসবাসরত মানুষ নদীপথে যাতায়াত করতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। শুধু যাত্রী হয়রানি নয়,স্থানীয় মৎস্যজীবীদের হয়রানি করছে জিরিমুখে অবস্থানরত মণিপুর রাজ্যের পুলিশ।বরাক উজানে বসবাস করা মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। লক্ষীপুরের ফুলেরতল পর্যন্ত বরাক নদী দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের।নদীপথে যাতায়াত করা মানুষ ও মৎস্যজীবীদের জিরিমুখে হয়রানি করছে মণিপুর পুলিশ। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমরা বাঙালির সচিব সাধন পুরকায়স্থ। তিনি বলেন,ইনারলাইন পারমিটের নামে অঙ্গরাজ্যের লোকদের হয়রানি করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।এটা কোনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত নয়। এক দেশের দু’টি রাজ্যের সীমানা। অথচ এখানে এত কড়াকড়ি কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান সাধন পুরকায়স্থ। তিনি বলেন,এত কড়াকড়ি ঐক্য,সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিপন্থী। নদীপথে যাত্রী ও মৎস্যজীবীদের হয়রানির নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন,আমরা বাঙালি সংগঠন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে রয়েছে। এই হয়রানির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে তৈরি রয়েছে আমরা বাঙালি। ঐক্য এবং জাতীয়তাবোধের স্বার্থে জিরিমুখে অসমের মানুষ ও মৎস্যজীবীদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন আমরা বাঙালির রাজ্য সচিব। মণিপুরের বর্তমান জিরিবাম জেলা একসময় অসমের কাছাড় জেলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ছিল। বরাক উপত্যকার সঙ্গে জিরিবামের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক আগেও ছিল,এখনও রয়েছে। কিন্তু মণিপুরে ইনারলাইন পারমিট চালু করার পর থেকে জিরিবামে প্রবেশের মুখে বরাক উপত্যকার মানুষ বহু হয়রানির মুখে পড়েছেন। সাধন পুরকায়স্থ বলেন,এটা কোনও আন্তর্জাতিক সীমানা নয়।অসম এবং মণিপুর এক ভারতবর্ষের দু’টি অঙ্গরাজ্য। এক দেশের দুই রাজ্যের সীমানায় এত কড়া মনোভাব মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।