অনলাইন ডেস্ক : ধুলোর ঝড়ে জীবন,পরিবেশ একেবারে বিপন্ন। কৃত্রিমভাবে একাংশ অবৈধ ব্যবসায়ীর অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাটি কাটার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন এবং পরিবেশ একেবারে হুমকির সম্মুখীন। সর্বত্র ধুলোর ঝড়ে একেবারে নাকাল অবস্থা। লক্ষীপুর মহকুমা এলাকার সর্বত্র অবাধে ও বিনা অনুমতিতে সাধারণ মানুষের লাভ ক্ষতি বিচার না করে, পরিবেশ বিষাক্ত করে টিলা ও সমতল ভূমি কেটে মাটির কাজ চলছে। দিনরাত এক করে এস্কেভেটর ব্যবহার করে লক্ষীপুর বন বিভাগের অধীনে থাকা বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটার কাজ চলছে। এসব অবৈধ মাটি খননের কাজের ক্ষেত্রে নেই কোনও বৈধ অনুমতি।ফলে মার খাচ্ছে সরকারি রাজস্ব। লক্ষীপুর বন বিভাগের পরোক্ষ মদতে এই মাটি কাটার কাজ চলছে সর্বত্র। অবৈধ মাটি কাটার ফলে দিনরাত মেশিনের বিকট আওয়াজ এবং ধুলোর ঝড়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষ ও পরিবেশের। পরিবেশ বিষাক্ত করে প্রায় প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে ক্ষেতের জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার কাজ চলছে। শুধু ক্ষেতের জমি নয় যত্রতত্র টিলা কেটে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। বিশেষকরে অবৈধ পন্থায় অবাধে মাটি কাজের ফলে ধুলো উড়ছে ধূয়ার মতো। অনেক গ্রামের মানুষের পক্ষে বাড়িঘরে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এই অবৈধ মাটি কাজের লাগাম টানতে জেলা প্রশাসন ও জেলা বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগী জনগণ।লক্ষীপুর বন বিভাগের অধীনে থাকা এলাকায় এসব অবৈধ মাটি কাটার কাজ নিয়ে একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত হারে এই পরিবেশ দূষিত করার ব্যাপারে প্রতিকার দাবি করেছেন সচেতন লোকজন। ধুলোর ঝড়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের মানুষ।গাছ-বৃক্ষ পর্যন্ত মরে যাচ্ছে। এমন মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে প্রায় মহকুমার প্রতিটি গ্রামে। বন ও পরিবেশ বিভাগের কর্তাদের এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আবেদন রেখেছেন পরিবেশপ্রেমী জনগণ।