অনলাইন ডেস্ক : হায় মানবতা!! নৃশংসভাবে খুন হল ধলাই থানা এলাকার হাওয়াইথাং দারুস সালাম হাফিজিয়া ও আলিয়া মাদ্রাসার বছর বারোর এক ছাত্র। রবিবার ভোরে ফজরের আজান দিতে ঘুম থেকে উঠে একজন দেখেন অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা কিশোর রজিমুল গলাকাটা অবস্থায় বিছানায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি মাদ্রাসাতে থাকা অন্যান্যদের অবগত করানো হয়। খবর যায় পুলিশে, ঘটনার খবরে কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাত্তা সহ ধলাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ বরুয়া ঘটনাস্থলে পৌছান। পৌছান সোনাই সার্কল ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়া তামিম। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মরোনত্তর পরীক্ষার জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে ধলাই পুলিশের উপস্থিতিতে মাদ্রাসাটি সিল করে দেওয়া হয়। মাদ্রাসা গৃহ সহ কম্পাউন্ডের বিভিন্ন স্থানে সেটে দেওয়া হয় রেসটিকটেট এরিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জনসাধারণের প্রবেশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। মাদ্রাসায় থাকা অন্যান্য ২০ জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালে স্থানীয় মওলানা ফখরুল ইসলাম দারুছ সালাম হাফিজিয়া ও আলিয়া মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসার স্থাপন করেন। মাদ্রাসাটিতে আবাসিক ছাত্রাবাসে মাদ্রাসা পড়তেন কিছু ছাত্ররা। ঘটনার দিনে একজন শিক্ষক ১জন চৌকিদার ও অন্তত ২০ জন ছাত্র ছিল। যে গৃহে হত্যা কান্ডটি সংঘটিত হয় সেখানে খুন হওয়া কিশোর সহ আর ৬ জন ঘুমিয়ে ছিল । সেই ৭ জনের মধ্যে ১জন ছাত্র ভোর রাতে ফজরের আজান দিতে উঠে প্রত্যক্ষ করেন খুন হয়ে গেছে সহপাঠী রজিমুল।
কাছাড়ের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছে। খুন হওয়া কিশোর একই থানা এলাকার ফ্রেঞ্চনগর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল হোসেন লস্করের কিশোর পুত্র রজিমুল হোসেন লস্কর। নর্থ হাওয়াইথাং সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করত।