অনলাইন ডেস্ক : অমিয় কান্তি দাস বিদ্রোহী হয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করার পর উল্লাসিত হয়ে উঠেছিলেন কংগ্রেসের অনেকেই। তবে অমিয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে এর মাঝেই কংগ্রেসের কেউ কেউ আশা করছেন
অমিয় অনুগামীদের ভোট পড়বে তাদের পক্ষেই।এর পাশাপাশি কংগ্রেসর ঘরভেদী বিভীষণদের টার্গেট করে নিজেদের ভোটের ভান্ডার স্ফীত করতে চাইছে বিজেপিও।
বিজেপির এক সূত্র বলেন, অমিয় কান্তি দাসকে ঘিরে বিজেপিতে যা ঘটেছে সবই প্রকাশ্যে। সেই পর্ব মিটে গেছে সম্পূর্ণভাবে। এবার তাদের লক্ষ্য বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসীদের ভোট। সূত্রটির কথায়, বিজেপিতে অমিয়পর্ব প্রকাশ্যে ঘটলেও প্রার্থিত্ব কেন্দ্রিক ক্ষোভ রয়েছে কংগ্রেসেও। প্রকাশ্যে না এলেও এই ক্ষোভের মাত্রা বিজেপির অমিয় পর্ব থেকে অনেকগুণ বেশি উত্তপ্ত। এ নিয়ে তিনি সরাসরি কংগ্রেসের টিকিট থেকে বঞ্চিত এক নেতার দিকে ইঙ্গিত করেন। তার কথায় ধলাইয়ে কংগ্রেস বর্তমানে পুরোপুরি তিন ভাগ। একভাগ সরাসরি ওই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে যোগাযোগ করছেন বিজেপির সঙ্গে। অন্য একভাগ দলের ভেতরে থেকে গিয়ে গোপনে কংগ্রেসের সুতো কাটার কাজ করছেন। এই দুই পক্ষের সঙ্গেই বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে। এদের নিজেদের ভোট তো বটেই তাদের মারফত কংগ্রেসী ভোট ব্যাংকের এক বড় অংশ চলে আসবে বিজেপির দিকে। জানা গেছে শুক্রবার শিলচরে বিজেপি কার্যালয়ে দলের রাজ্য সভাপতি ভবেশ কলিতা এবং জেলার অভিভাবক মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়ার উপস্থিতিতে ধলাইয়ে দলের নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেও বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসিদের সঙ্গে যোগাযোগের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
অপরদিকে কংগ্রেসের এক সূত্র দাবি করেন, বিজেপি যতই অমিয় পর্ব মিটে গেছে বলে বাইরে ভাব দেখাক না কেন, অমিয় সমর্থকদের অনেকেই যোগাযোগ করছেন তাদের সঙ্গে। ভোট গণনার দিন ইভিএম-এ এর প্রতিফলন দেখা যাবে। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ পাল বলেন শুধু অমিয় সমর্থকরাই নন এর বাইরেও অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এমন দাবি করে তিনি জয়ন্ত মল্লবরুয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, উনি বলছেন বিজেপি নাকি জিতবে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। যদি বাস্তবে এমনটা ঘটে তবে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। আর যদি তা না হয়, তবে জয়ন্তকেও ছাড়তে হবে মন্ত্রী পদ। অভিজিৎ সঙ্গে এও দাবি করেন, তার দলে নাকি বর্তমানে কোনও বিক্ষুব্ধ নেই । দলের নেতা-কর্মী সবাই কাজ করছেন একযোগে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে জেলা কমিটির সঙ্গে সংযোগবিহীন দলের একাংশ কর্মকর্তাকে যেভাবে হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ধলাইয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে এতে দলের অভ্যন্তরেই ভ্রু কুচকাচ্ছে অনেকের।