অনলাইন ডেস্ক : মধ্যযুগীয় বর্বরতা, স্ত্রী পরকীয়া লিপ্ত সন্দেহে দুটি হাত কেটে ফেললো স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে প্রেরণ করা হয়েছে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজে ।
বর্ববরুচিত ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে ধলাই থানা এলাকার দক্ষিণ ধলাইয়ের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুর ফরেস্ট ভিলেজ গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দা রফিক উদ্দিন প্রায় ছয় বছর আগে প্রেম করে রুবি বেগম নামের মহিলাকে বিবাহ করেছিলেন । রুবির বাবার বাড়ি একই থানা এলাকার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রাম। বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই
কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে যাওয়া-আসা করত রফিক। স্ত্রী পরকীয়া লিপ্ত সন্দেহ বেঙ্গালুরু থেকে ফিরলেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকত। এর মধ্যেও গত ছয় বছরে একে একে তিনটি সন্তানের মা হন রুবি। বড় শিশুটি বয়স পাঁচ বছর ছোটটির পাঁচ মাস। রফিক মূলত দিনমজুর। কাজের সূত্রে গত দুই তিন বছর থেকে বেশিরভাগ সময় বেঙ্গালুরুতে থাকতো সে। সে ব্যাঙ্গালোরে থাকা অবস্থায় স্ত্রী পরকীয়া লিপ্ত থাকেন এমন সন্দেহ রফিকের। এক সময় স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রুবি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। গত মাস চারেক আগে এক সালিশ সভার মাধ্যমে বিষয় নিষ্পত্তি করে স্বামীর গৃহে জান রুবি । রুবি মামার দেওয়া বয়ান মতে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে রেখে আবারও বাঙ্গালোরে চলে যায় রফিক। গত মাস দেড়েক আগে ফিরে আসে সে। আবারো স্ত্রী পরকীয় লিপ্ত রয়েছে অভি যোগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হয় রফিক। বিবাহের পর থেকে প্রায় সময়ই সে স্ত্রীকে মারধর করত। গত কিছুদিন আগে সে তার শাশুড়িকেও পেটায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহিলার মামা।
বৃহস্পতিবার আবারো কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাদে। এক পর্যায়ে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পাশাপাশি কব্জির উপরে রুবির দুই হাত কেটে ফেলে পালিয়ে যায় রফিক। রফিক পালিয়ে যাওয়ার পর সন্তানসহ মায়ের কান্নার আওয়াজ শুনে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তারা দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছেন রুবি। ততক্ষণে প্রচুর রক্তকরণের ফলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রুবি। প্রতিবেশীরা রুবির বাবার বাড়িতে খবর দেন। বাবার বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা গৌহাটি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রাতেই রবিকে নিয়ে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রুবির বাবার বাড়ির লোকজন। এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন এফ আই আর জমা দেওয়া হয়নি যদিও পুলিশ গঠনা অবগত হওয়ার পর এই ঘটনার তদন্তে নেমে রফিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।