অনলাইন ডেস্ক : গভীর রাতে ধলাইয়ে বন্য জন্তু চোরাকারবারিদের কাছ থেকে বিরল প্রজাতির ৯ টি বানর উদ্ধার করলো ধলাই পুলিশ। বানরগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাকড়াও করা যায়নি চোরাকারবারিদের। রাতের অন্ধকারে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে খাঁচায় বন্দী বানরগুলো সড়কে রেখে পালিয়ে যায় ওরা। বিরল প্রজাতির বানর গুলোর মধ্যে রহেছে সাতটি রেড ফেসড স্পাইডার মাঙ্কি এবং দুটি ল্যাঙ্গুর। উদ্ধার করা বানরগুলো সোমবার বন বিভাগের সিসিএফ এবং কাছাড় ও গৌহাটি চিড়িয়াখানার ডিএফও য়ের উপস্থিতিতে ধলাই রেঞ্জ অফিসারের হাতে সমঝে দেয় ধলাই পুলিশ। প্রতিদিনের মত সোমবার গভীর রাতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে নৈশ টহলদারিতে বেরিয়ে পড়েন ধলাই থানার অসি মনোজ বরুয়া। রোড পেট্রলিং চলাকালীন ৩০৬ নং শিলচর আইজল জাতীয় সড়কের পাশে খাঁচায় বন্দী ওই বানরগুলো চোখে পড়ে পুলিশের। ওখান থেকে বানরগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের ধারনা,সম্ভবতঃ পুলিশের আগমনের আঁচ পেয়ে বানরগুলোকে সড়কের পাশে ফেলে রেখে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায় চোরাচালান কারিরা। সোমবার ধলাই থানায় খাঁচায় বন্দী ৯ টি বিরল প্রজাতির বানর বন বিভাগের হাতে সমঝে দেওয়ার সাংবাদিকদের সাথে এ নিয়ে কথা বলেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমুল মাহাতো। তিনি বলেন ওই রেড ফেসড স্পাইডার বানর ও ল্যাঙ্গুর বানর গুলো বিরল প্রজাতির, বলতে গেলে ভারতে দুষ্প্রাপ্য। এই প্রজাতির বানর ইন্দোনেশিয়া,লেটিন আমেরিকা,কলম্বিয়া ইত্যাদি দেশে দেখা যায়। সাধারনতঃ ওইসব বানর এ দেশের বানরের থেকে অনেক মূল্যবান। সম্ভবতঃ এই বানরগুলো মায়ান্মার থেকে মিজোরাম হয়ে বহিঃরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে ৩০৬ নং জাতীয় সড়ক ব্যবহার করছিল বন্য জন্তু চোরাকারবারিরা। কিন্তু পুলিশের টহলদারি আঁচ করতে পেরে বানরগুলো সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার বলেন,যেকোন ধরনের অবৈধ কারবার বা অবৈধ পাচারে সড়কের উপর যেন পুলিশের নজরদারি কঠোর থাকে এমনি কড়া নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তাই দিন ও রাত সমানতালে জাতীয় সড়কের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। ধলাই ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিস থেকে বানরগুলো এদিন গৌহাটি চিড়িয়াখানার নিয়ে যান চিড়িয়াখানার ডিএফও অশ্বিনী কুমার। এ ব্যাপারে ধলাই থানায় এদিন উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের সিসিএফ পি শিবকুমার, কাছাড়ের ডিএফও তেজষ মরিস্বামী,ধলাই ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিসার উত্তমানন্দ গোস্বামী, কাছাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) কল্যান কুমার,ধলাই থানার অসি মনোজ বরুয়া।