অনলাইন ডেস্ক : কূটনীতি নিয়ে রেষারেষি তো কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধ্বে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠল। এক পাক দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্দ্বে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। যা নিয়ে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে দু”দেশের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন ভারতীয় এক মহিলা। মহিলা এ-ও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধাচরণ করে নিবন্ধ লেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয় তাঁকে। মহিলার অভিযোগ ছিল, পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক তাঁকে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা দেওয়ার শর্ত হিসাবে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। ওই আধিকারিক তাঁকে যৌনগন্ধী ইঙ্গিত করেছেন বলেও তাঁর দাবি।
মহিলার আরও দাবি, তাঁকে ভারত এবং কাশ্মীরের বিরুদ্ধেও নিবন্ধ লিখতে বলা হয়েছিল। ওই মহিলা জানিয়েছেন, পাকিস্তান দূতাবাসের ওই আধিকারিক তাঁর হাত ধরে তিনি বিবাহিত কি না, তা জিজ্ঞাসা করেন। মহিলার আরও অভিযোগ, ওই আধিকারিক তাঁকে বলেছিলেন যে, পাকিস্তানিরা চাইলে চার বার বিয়ে করতে পারে। মহিলার কথায়, ‘‘আমি গত বছরের জুনে দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমাকে একটি জায়গায় বসে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিছু ক্ষণ পরে, আমাকে বলা হয়েছিল যে, ভিসা দেওয়া যাবে না। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হওয়ায় পাকিস্তান সরকার সচল ছিল না। আমি অফিস থেকে বার হওয়ার সময় আসিফ নামে ওই ব্যক্তি আমার কাছে এসে বললেন, ‘আপনি আমার কাছে এলে আমি আপনাকে ভিসা দিয়ে দিতাম।’ এর পর উনি আমাকে আবার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন।’’ অভিযোগ, এর পর দূতাবাসের ওই কর্মী তাঁকে ভিসা দেওয়ার নাম করে ডেকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রশ্ন করা হয়, মহিলা নিজের ‘যৌন চাহিদা’ মেটাতে কী করেন? তিনি যোগ করেন, ‘‘উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমার সঙ্গে সঙ্গম করার মতো কেউ আছে কি না। ওঁর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে যেতে চাই কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেন। এর পর আমি উঠে তাঁকে ভিসা অফিসারকে ফোন করতে বলি। তখন উনি চুপ করে যান।’’
এদিকে দিল্লির পাক দূতাবাসে ভারতীয় মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই আধিকারিকদের ছেড়ে কথা বলবে না পাকিস্তান ! বৃহস্পতিবার এমনটাই জানানো হয়েছে সে দেশের সরকারের তরফে। পাকিস্তান এই সমস্ত বিষয়কে কোনও রকম প্রশ্রয় দেবে না বলেও জানিয়েছেন, পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ। পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।মুমতাজ বলেন, ‘‘আমাদের দূতাবাসে আসা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার আমরা মেনে নেব না। এই অভিযোগ শুনে আমরা হতবাক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান সমস্ত ভিসা আবেদনকারীদের প্রতি যথাযথ আচরণ করে। মুমতাজের কথায়, ‘‘আমাদের সমস্ত কূটনৈতিক কর্মীকে পেশাদার আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’