অনলাইন ডেস্ক : শেষপর্যন্ত আইনি মারপ্যাচে জড়িয়ে গেল ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া। ২০০১-এর আদমসুমারির ভিত্তিতে লোকসভা এবং বিধানসভার কেন্দ্র পুনর্নির্ধারণ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন, তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করেছেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হীরেন গোঁহাই এবং সাংসদ অজিত ভূঁইয়া। তাঁদের বক্তব্য, প্রচলিত আইন মেনে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকে সাংসদ ভূঁইয়া বলেছেন, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এই পিআইএল দাখিল করা হয়েছে। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে এই পিআইএল নিয়ে শুনানি শুরু হবে। শুনানি শুরু হওয়ার পর সমগ্র বিষয়ে তিনি বিশদে বিবৃতি জারি করবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যসভার সদস্য গোঁহাই এবং সাংসদ অজিত ভূঁইয়া । বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হীরেন তাঁদের বক্তব্য, প্রচলিত আইন মেনে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকে সাংসদ ভূঁইয়া বলেছেন, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এই পিআই এল দাখিল করা হয়েছে। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে এই পিআইএল নিয়ে শুনানি শুরু হবে। শুনানি শুরু হওয়ার পর সমগ্র বিষয়ে তিনি বিশদে বিবৃতি জারি করবেন। গত ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে ডিলিমিটেশন রাজ্যে প্রক্রিয়ায় হাত দেওয়া হবে ১ জানুয়ারি থেকে। কেন্দ্র পুনর্নির্ধারণের ভিত্তি হবে ২০০১-এর আদমসুমারি। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন কোনও প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন রেখে সম্পন্ন না হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জিও জানিয়েছে তারা। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে গোঁহাই এবং ভূঁইয়ার পিআইএল-কে যথেষ্ট তাৎপর্যবহ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পিআইএলএ স্পষ্ট বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান আইনকে লঙ্ঘন করেই নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হওয়া পিআইএল-এর জেরে দলনেতা দেবব্রত ডিলিমিটেশনের জল অন্যদিকেও ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর গড়াতে পারে। শইকিয়াও অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য, খিলঞ্জিয়াদের হওয়ার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়ে রক্ষাকবচের জন্য এই ডিলিমিটেশন ২০০১-এর অত্যন্ত জরুরি। অসন্তুষ্ট বিভিন্ন পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ অসমিয়া এবং রেখেছে। বিশেষত আদমসুমারির ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন নিয়ে আপত্তি আছে এআইইউডিএফ এবং কিছু সংখ্যালঘু সংগঠনের। এদিকে গোঁহাই এবং ভূঁইয়ার পিআইএল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া বলেছেন, ডিলিমিটেশনের বিরোধিতা যাঁরা করছেন তাঁরা অসমিয়া জাতির শত্রু । ‘অসম আন্দোলন কিংবা এনআরসি অসমিয়া জাতির রক্ষাকবচ হতে পারেনি। জাতির সুরক্ষার জন্য ডিলিমিটেশন জরুরি। কিন্তু যাঁরা এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করবেন, তাঁদের জাতির শত্রু হিসেবেই গণ্য করা হবে,’ বলেছেন জয়ন্ত।