অনলাইন ডেস্ক : রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল প্রদেশ কংগ্রেস। ভুপেন বরার নেতৃত্বে বিরোধী দলের নেতারা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তুলে দেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কথায়, ২০০২ সালে যখন সারা দেশে ২০০১-এর জনগণনার ওপর নির্ভর করে বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু হয়, তখন অসমে এই প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়। সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)-সহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এর পেছনে মূল দাবি ছিল যে, অসমে নাগরিকপঞ্জির কাজ শেষ না হওয়া অবধি রাজ্যে বসবাসকারী বিদেশির সংখ্যা নির্ধারণ সম্ভব নয়। ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার ভিত্তি হচ্ছে বিভিন্ন বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের মোট জনসংখ্যা। ফলে ২০০১ সালের জনগণনাকে ধরে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা ভুল হবে।
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এরপর ২০০৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অসমে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। ভূপেন বরারা নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন এবার ফের ২০০১ সালের জনগণনাকে ভিত্তি ধরেই যদি বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়, তাতে আগের সমস্যা তো বহালই থাকল। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে, অসমে নাগরিকপঞ্জির প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শেষ প্রকাশিত তালিকায় বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ লোক। তাঁদের কী হবে এ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উপরন্তু এই পরিস্থিতিতে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া করা অনুচিত। এর পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া শুরুর আগে রাজ্য সরকারের চারটি জেলার বিলুপ্তি ঘটানো ও চৌদ্দটি জেলার সীমা অদলবদল নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন কমিশনের কাছে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, পুরো প্রক্রিয়াই অসাংবিধানিক ভাবে করা হয়েছে। সবমিলিয়ে কংগ্রেস নেতারা এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে, ২০০৮-এর পরিস্থিতি এখনও একই রয়েছে ফলে আপাতত ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া করা উচিত নয়। বরং ঝুলে থাকা সমস্যা মিটিয়ে সর্বশেষ জনগণনার ওপর বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করাই শ্রেয়।