অনলাইন ডেস্ক : সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৩ সাল ছিল সাফল্যের অসম। কেননা, বিদায়ী বছর অসমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে রাজ্যের বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ (ডিলিমিটেশন) হয়েছে। এতে রাজ্যে অসমিয়াদের জন্য ৯৬ থেকে ৯৮টি আসন সুরক্ষিত হয়েছে। কেবল ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকা নয়, বরাক উপত্যকায়ও ৮ থেকে ৯টি আসন ভূমিপুত্র (খিলঞ্জিয়া)-দের জন্য সুরক্ষিত হয়েছে। জোরের সঙ্গে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ সালের প্রথম দিন জনতা ভবনের লোকসেবা ভবন চত্বরে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং সম্পাদকদের সঙ্গে ‘নতুন দিনর বার্তালাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ডিলিমিটেশনের ফলে বিদায়ী ২০২৩ সাল অসম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর ছিল বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে রাজ্যের বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার সুনির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে মন্তব্য না করে এর ইতিবাচক ফলাফলের ওপর আলোকপাত করেছেন। হিমন্ত বলেন, রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯৬ থেকে ৯৮টি আসন এখন একচেটিয়াভাবে অসমিয়াদের জন্য সুরক্ষিত হয়েছে, যাঁরা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অসমে বসবাস করছেন। এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে যে, শুধুমাত্র অসমের সঙ্গে যাঁদের গভীর সংযোগ রয়েছে তাঁরাই সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে পারবেন। সে তিনি (নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী) যে দলেরই হোন না-কেন, এক কথায় বিজয়ী হবেন অসমিয়া। বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপটি ভূমিপুত্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আলফা চুক্তির সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের ফলাফল জড়িয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী জোর দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি ভবিষ্যতের ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াগুলিকে গাইড করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ দুটি পয়েন্টের ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, প্রথমত, নাগরিকরা নির্বাচনী এলাকা বা জেলা পরিবর্তন করতে পারবে না এবং তাদের ভোটদানের কেন্দ্র হতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা। দ্বিতীয়ত, এই চুক্তি নিশ্চিত করে যে, একজন ভোটার শুধুমাত্র তাঁদের মূল নির্বাচনী এলাকার মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় পরিবর্তন রোধ করবে এই চুক্তি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিধানগুলি সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে অসমের আদি বাসিন্দাদের জন্য সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করবে। উদাহরণ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আলফা চুক্তি অনুযায়ী বরপেটা সত্রের চারপাশে ৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে জমি ক্রয়ের জন্য সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ভূমিপুত্র অঞ্চল সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, অসম চুক্তির ছয় নম্বর দফাও এর বলে বাস্তবায়িত হয়েছে।