অনলাইন ডেস্ক : ভ্যানিশ হয়ে গেল আস্ত একটা লিগ্যাসি। ডিএসএ চ্যাপ্টারে আপাতত ক্লোজ বাবুল হোড়। সভাপতি পদে দারুণ একটা ফাইট দিয়েও শিবব্রত দত্তের কাছে হেরে গেলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই কিংবদন্তী। সেইসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় বাবুল হোড় যুগের অবসান হয়ে গেল। তবে গেরুয়া শিবির পুরো প্যানেল নিয়ে বেরোতে পারেনি। অতনু ভট্টাচাৰ্য -র কাছে বেশ বড় ব্যবধানেই হেরে গেলেন চন্দন শর্মা। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ডান বাম নিয়ে পরিচালিত হবে ডিএসএর সাম্রাজ্য ।
শুরুর দিকে এগিয়ে থাকলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি বাবুল হোড়। ১১৯- ৯৪ ভোটে হার স্বীকার করেন তিনি। ডিএসএতে কেরিয়ারের প্রথম হারের মুখ দেখলেন বাবুল হোড়। এদিকে সচিব পদে হারের হ্যাটট্রিক হল না অতনু ভট্টাচাৰ্য। চন্দন শর্মাকে বেশ বড় ব্যবধানেই হারান অতনু। জেতেন ১২৯- ৮৪ ভোটে। এছাড়াও জয় পেয়েছেন সহ সভাপতি অনিমেষ সেনগুপ্ত, নীলাভ মৃদুল মজুমদার, আশুতোষ রায়, নন্দদুলাল রায়, সুবিমল ধর, অজয় চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ ভট্টাচাৰ্য,এজিএস পদে অরিজিৎ গুপ্ত, দেবাশীস সোম, অজয় রায়, কোষাধক্ষ্য বুদ্ধুদেব চৌধুরী,শাখা সচিব পদে নিরঞ্জন দাস (ক্রিকেট), বিকাশ দাস (ফুটবল), হিমাদ্রিশেখর দাস (আম্পায়ার), সমর রায় (রেফারি), অনিমেষ চন্দ (ইন্ডোর), সত্যজিৎ দাস (মাইনর গেমস), সুদর্শন চৌধুরী (হকি), শান্তনু রায় (বলস), আশিস চক্রবর্তী (স্টেডিয়াম), কোশিক রায় (গ্রাউন্ড), সুখেন সরকার (সুইমিং), মিঠুন রায় (ফিজিক্যাল) ও প্রণবকল্যাণ দে ( সাংস্কৃতিক)। ২২৭- র মধ্যে ২১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে ভোট দেন ২১৫ জন।
এদিন সভার কাজ শুরু হয় বিদায়ী সচিবের প্রতিবেদন পেশের মাধ্যমে। অনুমোদন লাভ করে অ্যাকাউন্টস। পুরান কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া আগে বিদায়ী সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং ডিএসএ র সদস্য পদ সাময়িক রদ করে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানান বিজিএমে উপস্থিত অসম অলিম্পিক সংস্থার দুই অবজারভার শৈবাল সেনগুপ্ত এবং অমলেশ চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে। জবাবে অবজারভার চৌধুরী বলেন, শিলচরের বিজিএম প্রক্রিয়া নিয়ে অসম অলিম্পিকে রিপোর্ট পাঠাবেন এবং সদস রদ প্রত্যাহারের আর্জি পাঠাবেন।
এদিকে ভোটদানের বিষয়টি প্যানেলের প্রার্থীদের নিজের মোবাইলে ক্যামারা বন্দী করে উধ্বতন কর্মকর্তাদের দেখানোর হুইপ জারি করে শাসক গোষ্ঠী। শাসক গোষ্ঠীর এই হুইপ জারির আপত্তি জানিয়ে মোবাইল নিয়ে ভোটদানে যাওয়া যাবে না বলে লিখিত আপত্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চেয়ারম্যান দেবশ্রী লাংথাসার কাছে জমা করেন সদস্য আইনজীবী অজয় রায়। এর সমর্থন জানান আরেক সদস্য অরিন্দম হোড়। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি ছিল ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা জরুরি। এতে সংশ্লিষ্ট ভোট দাতার সুরক্ষার প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি মেনে নেননি প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং। তিনি বলেন, ভোটার নিজের ভোটদান ক্যামেরাবন্দী করবেন মাত্র। অন্যের নয়। এমন পরিস্থিতিতে সুরক্ষার কোনও প্রশ্নই উঠে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সভা একটা সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও জল আর ঘোলা হয়নি। শুরু হয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া।
এর আগে দিলীপ নন্দীকে (সাম্মানিক) ও প্রশান্ত কুমার বোসকে (পেইড ) আজীবন সদস্য পদে সম্মান জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে সংস্থার মুখ্য পৃষ্টপোষক করা হয়েছে। পৃষ্টপোষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনয়াল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, সংস্থার প্রতিষ্টা বাদল দে, অভিজিৎ এন্দো সহ কাছাড় জেলার সব কয়টি বিধায়ককে। ১২ টি সংগঠনকে অস্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।