অনলাইন ডেস্ক : জালালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃরোহিত দাগাকে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের দাবি জানালেন জালালপুরের সচেতন জনগণ। জালালপুরের সচেতন জনগণের বক্তব্য,গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তালকর গ্রান্টের বাসিন্দা সুধীর দাস ডাঃ রোহিত দাগাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কুশিয়ারকুল জিপি সভানেত্রীর স্বামী তথা কংগ্রেস নেতা কনক নাথ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুধীর দাসকে গ্রেফতার করেছে। এরপর তালকরগ্রান্ট এলাকার মানুষ এবং সুধীর দাসের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য কনক নাথকে দায়ী করেন। তালকরগ্রান্টবাসী এবং সুধীর দাসের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,৪ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনার মূল মাথা কনক নাথ। তিনি সুকৌশলে সুধীর দাসকে প্ররোচিত করে ঘটনা ঘটিয়েছেন।তাদের বক্তব্য,৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সুধীর দাস যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন কনক নাথ ফোন করে সুধীর দাসকে জালালপুর হাসপাতালে আসতে বলেন। কনকের ফোন পেয়েই সুধীর বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরবর্তী হাসপাতালে যান। জালালপুরের সচেতন জনগণের মতে,৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কনক নাথ সুধীর দাসকে ফোন করে হাসপাতালে এনেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত হোক। তদন্তে যদি এই ফোন করার বিষয়টি প্রমাণিত হয় তাহলে চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত হোক।কারণ জালালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় অবহেলা করার কোনও ঘটনা যদি ঘটেই থাকে তাহলে জিপি সভানেত্রীর স্বামী হিসেবে কনক নাথের জিপির এপি সদস্য এবং গ্রুপ সদস্যদের ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা না করে সুধীর দাসকে ফোন করেছেন।এখানেই প্রশ্ন হচ্ছে,সুধীর দাস যেমন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি নন তেমনি বড় নেতা নন।তাহলে সুধীর দাসকে ফোন করার অর্থ কি?জালালপুর এলাকার সচেতন জনগণের বক্তব্য,এভাবে চিকিৎসকদের নিগ্রহ করলে জালালপুর হাসপাতালে চিকিৎসকরা আসবেন না। এতে বৃহত্তর জালালপুরের খেঁটে খাওয়া মানুষরা দারুণ সমস্যায় পড়বেন। কারণ যাদের সঙ্গতি আছে তারা কালাইনে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারবেন। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরোয় যাদের তাদের পক্ষে কালাইনে গিয়ে ডাক্তার দেখানো ভীষণ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। তাই স্থানীয়দের মতে,ডাঃ রোহিত দাগাকে শারীরীক নিগ্রহের ঘটনার নেপথ্যে কোনও পরিকল্পিত প্ররোচনা রয়েছে কি না তার ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত একান্ত প্রয়োজন।