অনলাইন ডেস্ক : গত ১২ ডিসেম্বর জিরিঘাট থানা এলাকার প্রত্যন্ত নামদাইলং রংমাই পুঞ্জিতে নাগা ন্যাশনালিস্ট কাউন্সিল (এনএনসি)-র উচ্চস্তরীর “ক্যাডার” গাইদিংচোঙপাও রংমাই ওরফে চেলা রংমাই (৫০)কে গূলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিনজনকে। পুলিশ সুপার নূমূল মাহাতো জানিয়েছেন ধৃত তিনজনও এনএনসির সদস্য। মনে হচ্ছে, আদায় করার জঙ্গিকর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরেই গাইদিং চোংপাওকে হত্যা করা হয়েছে।
ধৃত তিনজন হল জিরিঘাট থানা এলাকারই চামটিলার পৌনিং রংমাই(৪৫) ও দিতিওয়াং রংমাই (৪০) এবং নামদাইলং- এর নামজাওরেই গনমাই(৪০)। এই তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের অনুমতিতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ও আসাম রাইফেলস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে পাকড়াও করে। তিনজনই সংগঠনের স্বঘোষিত “এরিয়া কমান্ডার”। সংগঠনে হত গাইদিংচোঙপাও-এর পদমর্যাদা ছিল তাদের চেয়ে উঁচুতে। ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন এপর্যন্ত হত্যার কথা স্বীকার না করলেও তারা যে ঘটনায় জড়িত ছিল এর স্বপক্ষে কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান প্রাথমিকভাবে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখে মনে হচ্ছে, আদায় করা জঙ্গি কর নিয়ে বিবাদের ফয়সালা করতে ঘটনার দিন নাম দাইলং পুঞ্জির চার্চে সভায় বসেছিল সংগঠনের সদস্যরা। তখন উত্তেজনার সৃষ্টি হলে গূলি চালিয়ে দেওয়া হয়। বছর দুয়েক আগে ওই এলাকায়
এনএন সির- ই অন্য এক ক্যাডার ডেভিডের হত্যাকান্ডে ধৃতদের মধ্যে একজন নামজাওরেই জড়িত ছিল বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে গত ২ ডিসেম্বর উধারবন্দ থানা এলাকার আয়নাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে তিন চালকের অপহরণের ঘটনায় জড়িত জেলিয়াংরং ইউনাইটেড ফ্রন্ট (জেড ইউ এফ) জঙ্গিদের সঙ্গে ধৃত তিনজনের সংযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, এ অঞ্চলের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সাধারণত জাতিভিত্তিক হয়ে থাকে। আর
জেড ইউ এফ ও এন এন সি যেহেতু একই জাতিভিত্তিক সংগঠন, তাই দুই সংগঠনের সংযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাথর কোয়ারি থেকে যান চালকদের অপহরণের ঘটনায় ধৃতরাও জড়িত ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।