অনলাইন ডেস্ক : বুধবার অসম বিধানসভায় সরকার মোট ছয়টি বিল উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিল ধ্বনীভোটে পাস হয়ে গেছে। এদিন যেগুলি বিল পেশ হয়েছে সেগুলি যথাক্রমে শহিদ কনকলতা বরুয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি বিল ২০২১৪, দ্য কোকরাঝাড় ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪, আসাম স্টেট স্কুল এডুকেশন বোর্ড বিল ২০২৪, দেউরি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ সংশোধনী বিল ২০২৪, সোনোয়াল কছারি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ সংশোধনী বিল ২০২৪ এবং তিওয়া স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ সংশোধনী বিল ২০২৪ বিল।
বিলগুলি রাজ্যের শিক্ষা ও উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রণোজ পেগুর পক্ষে রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা সদনে পেশ করেন। প্রতিটি বিল হাউসের অনুমোদন নিয়ে পেশ করেন মন্ত্রী হাজরিকা। এর আগে অসম বিধানসভার চলমান বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিন প্রশ্নোত্তর পর্ব দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম। প্রশ্নোত্তর পর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ বিধায়কদের প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এর পর বিধানসভার কার্যপ্রণালী এবং ব্যবসায়িক বিধি ৫৪-এর অধীনে বিধায়ক আমিনুল ইসলাম (জুনিয়র) রাজ্যের ১৭ লক্ষ মানুষ আধার কার্ড থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয় উত্থাপন করে গৃহ ও রাজনৈতিক দফতরের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিন ৩০১ নম্বর বিধির অধীনে রাজ্যের পর্যটন সম্পর্কিত একটি বিশেষ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বিধায়ক অখিল গগৈ। এই বিষয়ে আলোচনায় বেশ কয়েকজন বিধায়ক অংশ নেন। রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা পর্যটনমন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নের উত্তর দেন। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে বিধায়ক অখিল গগৈ হাউসে শোরগোল ফেলে দেন।
এর পর বিধায়ক রূপক শর্মা রাজ্যপালের ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাব পেশ করেন। বিধায়ক সুশান্ত বড়গোহাঁই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। বিধায়ক সুমন হরিপ্রিয়া, আব্দুল বাতেন খন্দকার, ভবেশ কলিতা, দুর্গাদাস বড়ো, আমিনুল ইসলাম (জুনিয়র), রকিবুল হুসেন, পৃথ্বীরাজ রাভা, রামকৃষ্ণ ঘোষ, রূপজ্যোতি কুর্মি, রফিকুল ইসলাম সহ অনেক বিধায়ক ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন।
সদনের কার্যপ্রণালী শেষে রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী জল প্রতিরোধ ও প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৭৪-এর সংশোধন সংক্রান্ত একটি বিল পাস করার জন্য হাউসের অনুমতি চান। প্রস্তাবের ওপর সামান্য আলোচনার পর তা ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায়। এই বিলে জল ও বায়ু দূষণ সংক্রান্ত মামলাগুলোকে অপরাধের বিভাগ থেকে বাদ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এখন যারা জল ও বায়ু দূষণ করবেন তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হবে।