অনলাইন ডেস্ক : পরিকাঠামো উন্নয়নে নব সংযোজনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা বুধবার চিরাং জেলায় প্ৰায় ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যায় এবং উদ্বোধন করেছেন। এদিন বাসুগাঁওয়ে ৬৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ৪১৯.০৫ মিটার দীর্ঘ কাসিকট্ৰা-বাসুগাঁও-তালগুড়ি রাস্তা এবং উত্তরপূর্ব রেলওয়ে লাইনের ওপর নিৰ্মিত পদসেতু, বিজনি-কুকলং হয়ে কুমারশালি এমএসবিগামী রাস্তায় কুকলুং নদীর ওপর ১১ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ১৫২ মিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া কাজলগাঁওয়ে ৩৭ বিঘা ভূমির ওপর ৩৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে অত্যাধুনিক জেলা ক্ৰীড়া স্টেডিয়ামের শিলান্যাস, অসম মালা প্রকল্পের অধীনে ২০৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ৪০.৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ চাপানুড়ি-আমটেকা-ভুটান সীমান্ত সড়কের উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়া ১০.৭৫ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে রাজ্য স্ব-অগ্ৰাধিকার উন্নয়ন তহবিল (গ্ৰামীণ) ২০২২-২৩-এর অধীনে গেরুকাবাড়ি হয়ে পানবাড়ি-বিজনি রোডের উন্নীতকরণ এবং ৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে রাজ্য স্ব-অগ্রাধিকার উন্নয়ন তহবিল (গ্রামীণ)-এর অধীনে মহাবীর লাচিত-চিলারায় সেতু নিৰ্মাণ অভিযানের অন্তৰ্গত বিষপানি হয়ে বিষ্ণুপুর বাজার-সিকাঝরা রোডে সিকা নদীর ওপর নিৰ্মিত পাকা সেতুরও শুভ উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্ৰী জল জীবন মিশনের অধীনে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে চম্পাবতী বাসুগাঁও পাইপযুক্ত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প এবং চাওরাং বাসুগাঁও পাইপযুক্ত পানীয় জল প্রকল্প দুটির শিলান্যাস স্থাপন করেছেন। এ উপলক্ষ্যে কাজলগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বলেন, এ সব প্রকল্প আগামীদিনে চিরাং জেলার জনসাধারণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে বহু সহায়ক হবে। গত দু-বছর ধরে চিরাং জেলায় চলমান উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পরিসর বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার জেলাবাসীর প্রতি যে দায়বদ্ধতা আছে তা প্রতীয়মান করছে। আজ উদ্বোধিত অথবা শিলান্যাসকৃত রাস্তার পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি জেলার অৰ্থনৈতিক কাৰ্যকলাপের সম্ভাব্যতা বৃদ্ধি করবে বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, এই সব প্রকল্প আগামীদিনে চিরাং জেলার বৃহৎ সংখ্যক জনসাধারণের অৰ্থনৈতিক উত্থানে অবদান রাখবে।
জেলা ক্ৰীড়া স্টেডিয়াম নিৰ্মিত হয়ে গেলে গণ-পরিকাঠামোর তালিকায় এক গুরুত্বপূৰ্ণ সংযোজন হবে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক সময় বিটিআরকে অশান্ত অঞ্চল বলে গণ্য করা হত, কিন্তু আজ এই অঞ্চল অভূতপূৰ্ব উন্নয়নের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে। আশা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, চলমান উন্নয়নের গতিধারা কোনও অবস্থাতেই থমকে যাবে না, নির্বাধায় এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ভাষণে অরুণোদয়, ৪০ লক্ষ পরিবারকে রেশন কাৰ্ড প্রদানের জন্য চলমান প্রক্ৰিয়া ইত্যাদির তথ্যও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে গৃহ নিৰ্মাণ ও নগর পরিক্ৰমা প্রভৃতি দফতরের মন্ত্ৰী অশোক সিংঘল, হস্ততাঁত-বস্ত্ৰ শিল্প প্রভৃতি দফতরের মন্ত্ৰী উর্খাও গৌরা ব্ৰহ্ম, বিটিসি-প্রধান প্ৰমোদ বড়ো, বিধায়ক অজয়কুমার রায়, জয়ন্ত বসুমতারি প্ৰমুখ উপস্থিত ছিলেন।