অনলাইন ডেস্ক : উধারবন্দ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পদে আসীন হলেন সন্দীপন নন্দী (বাপি)। সোমবার শিলচর জেলা কংগ্রেস কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সন্দীপনের হাতে তুলে দেন নিযুক্তিপত্র।, সন্দীপনের নিযুক্তিতে উধারবন্দ কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং পন্থীরা উল্লসিত হলেও ফুঁসতে শুরু করেছেন তার বিপক্ষ শিবিরের দলীয় কর্মীরা।
পুলক রায়কে পদ থেকে সরানোটা অবধারিত ছিল। দুই সাংসদ গৌরব গগৈ ও রকিবুল হোসেনের সভার নাম করে বন বিভাগের এক আধিকারিক এর কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই পুলক রায়কে যে পদ থেকে সরতে হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে অজিতের বিপক্ষ শিবিরের দলীয় নেতা-কর্মীরা চাইছিলেন পুলককে সরিয়ে এমন কাউকে বসানো হোক যিনি রয়েছেন দুই শিবিরের মাঝামাঝি অবস্থানে। এর জন্য কেউ কেউ প্রদেশ কংগ্রেসের দরবারে গিয়ে কলকাঠিও নাড়েন। যদিও শেষ পর্যন্ত অজিত নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার অতি ঘনিষ্ঠ সন্দীপনকে সভাপতি পদে বসাতে সক্ষম হন।
দলীয় বিভিন্ন মহলের অভিমত সন্দীপন সভাপতি পদে আসীন হওয়ায় উধারবন্দ কংগ্রেসে ফের কায়েম হল অজিত সিং- এর একচ্ছত্র আধিপত্য। এতোদিন কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে উধারবন্দ বিধানসভা এলাকায় ছিল আরও একটি ব্লক রাজাবাজার। তবে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার পর রাজাবাজার ব্লকের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উধারবন্দ ব্লক যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তারাই হবেন গোটা উধারবন্দ বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রক।এবার ঘনিষ্ঠ সন্দীপনের মারফত যা চলে এলো অজিত সিং -এর হাতে। প্রসঙ্গত উধারবন্দ কংগ্রেস একসময় শিলচর ইটখোলার সিং পরিবারের সাম্রাজ্য হিসেবেই পরিচিত ছিল। জগন্নাথ সিংয়ের প্রয়াণের পর
তার ভাইপো অজিত সিং এর জমানায়ও বেশ কিছুদিন বজায় ছিল এই ধারা। তবে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দিন অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অজিত সিং এর হাত থেকে উধারবন্দ কংগ্রেসের রাশ কিছুটা আলগা হয়ে যায়। দলীয় একাংশ নেতা-কর্মী নিজেদের পৃথক অস্তিত্বের কথা জানান দিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এর মধ্যে একজন এই পুলক রায়। একসময় অজিত সিং এর অতি ঘনিষ্ট পুলকও পরবর্তীতে পৃথকভাবে নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে শুরু করেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই তা মোটেই মনঃপুত হচ্ছিল না অজিতের। তবে ঝট করে তাকে ব্লক সভাপতির
পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছিল না। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলক নিজই চাঁদা কান্ডে জড়িয়ে অজিতকে সুযোগ করে দেন।