অনলাইন ডেস্ক : গোয়ালপাড়া জেলার কৃষ্ণাইয়ে জঙ্গলদস্যুদের হামলায় এক বনকর্মীর মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন তিন জন। সোমবার গভীর রাতে সংগঠিত ঘটনার খোঁজ নিতে গুয়াহাটি থেকে দুধনৈয়ে ছুটে এসেছেন ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সিং। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের ভয়ে গ্রাম থেকে পালিয়েছেন সব পুরুষ বাসিন্দা।
সোমবার গভীর রাতে কৃষ্ণাইয়ের শালপাড়া-দরাপাড়া আঞ্চলিক বন দফতরের অধীন বড় মাটিয়া রিজার্ভ ফরেস্টে কতিপয় জঙ্গলদস্যু মূল্যবান গাছ কাটছিল। খবর পেয়ে কৃষ্ণাই বন দফতরের চার কৰ্মী সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে প্রবেশ করে তাদের গাছ না কাটতে নির্দেশ দিলে তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র যেমন দা, কুড়োল, বর্শা দিয়ে কতিপয় বন মাফিয়া অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় এক বনকর্মী রাজবীর আহমেদ মৃত্যুবরণ করার পাশাপাশি তিনজন মবিনুর আহমেদ, নজরুল ইসলাম এবং মোস্তফা আলি গুরুতরভাবে ঘায়েল হয়েছেন। গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গুরুতর আহত ঘায়েল রাজবীর আহমেদ। অন্যদিকে মবিনুর আহমেদ, নজরুল ইসলামকে গুয়াহাটিতে জিএনআরসি হাসপাতালে এবং মোস্তফা আলিকে গোয়ালপাড়ায় সোলেস হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে।
এদিকে জঙ্গল-মাফিয়ারা বন কর্মী–দলের ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, লুট করে তাঁদের মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট, সোনার আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে। জঙ্গল-মাফিয়াদের হামলায় সহযোগিতা করেছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি। ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে মঙ্গলবার দুপুরে দুধনৈ ছুটে আসেন রাজ্যের ডিজিপি জিপি সিং। তিনি গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং দুধনৈ থানার ওসির সঙ্গে বৈঠকে বসে জঙ্গলদস্যুদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নিৰ্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বনাঞ্চল সুরক্ষার জন্য বন বিভাগকে পুলিশ প্ৰশাসন সব ধরনের সহায়-সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সিং।
এদিকে গতকাল রাতে এক বনকর্মীকে হত্যা এবং তিনজনকে আহত করার অভিযোগে দুধনৈ পুলিশ ভদ্ৰেশ্বর রাভা এবং মহেন রাভা নামের দুজনকে গ্ৰেফতার করেছে। অন্যদিকে পুলিশের ভয়ে শালপাড়া-দরাপাড়া গ্রামের প্রায় সব পুরুষ বাসিন্দা পলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।