সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ২৮ ডিসেম্বর : গত ছ’বছর ধরে কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ডি কে এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানকে গান্ধীমেলার বিনোদনের বরাত দেওয়া হচ্ছে।এবারও সেই একই ব্যাবসায়ীকে বরাত দেবার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিলচর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, গান্ধীমেলা এই উপত্যাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা এবং দীর্ঘদিন ধরে এর আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে শিলচর পুরসভা। তাই কোনভাবে এই মেলা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে না। কোনধরনের ‘টেন্ডার’ না ডেকে গত ২০১২ সাল থেকে ডি কে এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সংস্থাকে প্রতিবছর এই মেলার বিনোদনের বরাত দেওয়া হচ্ছে। এও শোনা যাচ্ছে যে বিহারের ব্যাবসায়ী এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মুক্তার আলমের সাথে পুরসভার কর্মীমহলের একাংশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এদের যোগসাজশ ও তদ্বিরের জন্য বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবসায়ী গান্ধীমেলার বরাত পেয়ে যান। বলা বাহুল্য, এর পেছনে অবৈধ লেনদেনও হয়ে থাকে এবং সেজন্যই গান্ধীমেলার সময় এই কর্মীমহলের অতি তৎপরতা দেখা যায়।
বিডিএফ এর মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন, শেষবার গান্ধীমেলার আয়োজন হয়েছিল ২০২০ সালে। তখন কোভিড সংক্রমণ হটাৎ বেড়ে যাওয়ায় মাঝপথে মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেসময় ডি কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুক্তার আলম তার সমস্ত কর্মীদের শিলচর ফেলে পালিয়ে যান। শহরের কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তখন এদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে এঁদের ভয়াবহ অবস্থা হত। এমনকি শিলচরের তৎকালীন বিধায়ক দিলীপকুমার পাল স্বপ্রনোদিত হয়ে এই কর্মীদের খাদ্য, পানীয় এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন ও তাঁদের বাসস্থানে পাঠাবার উদ্যোগ নেন। শিলচরের বিধায়ক তখন প্রকাশ্যে বলেছিলেন এই ধরনের দায়িত্বহীনতার পর মুক্তার আলমকে আর কখনো গান্ধীমেলার বিনোদনের বরাত দেবার প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে এবারও তাকেই বরাত দেবার তৎপরতা চলছে। তিনি পুর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন।