অনলাইন ডেস্ক, শিলচর : এবারও গানে গানে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করল শিলচর। দু’টি সাংস্কৃতিক সংস্থা সমকাল ও স্বরলিপির ব্যবস্থাপনায় এবারও দু’দিনের গানমেলার আসর বসে শিলচরে। শনিবার সকালে শিশুমেলার মধ্য দিয়ে ইংরেজি বর্ষশেষ নতুন বছর উদযাপনের ব্যতিক্রমী আঙ্গিকেই শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রাঙ্গণে যাত্রা শুরু হয় গানমেলা। প্রদীপ জ্বলিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সেতারবাদক রতন বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি শেখর দেবরায় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাবুল হোড়। মঞ্চে উদ্বোধক-অতিথি ও আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, যৌথভাবে এই দুই সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এবার গানমেলা এবার বারো বছরে পা দিয়েছে। মূলত ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের চালু ‘রীতি’ থেকে বেরিয়ে বাংলা গানের মাধ্যমে সাঙ্গিতিক পরিবেশে শিল্পী ও শ্রোতা-দর্শক এবং উঠতি প্রজন্মের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে তোলার উদ্যেশ্যে এই আয়োজন। প্রথম সন্ধ্যায় ছিল কীর্তন গানের বিশেষ অনুষ্ঠান। এরপরের শিল্পী তালিকায় ছিলেন সুকণ্ঠী নানা বয়সী গুণী শিল্পীরা। তাঁরা হলেন নীলাঞ্জন পাল, সীমা পুরকায়স্থ, শেলি সিনহা, বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য, রাজমোহন দাস, জয়দীপা চক্রবর্তী, অরুন্ধতী দত্তরায়, সন্দীপ আচার্য, বাপি রায়, সায়ন বিশ্বাস, পিয়ালি পাল, মঙ্গলা নাথ, দেবপ্রিয় নাথ, দোলন পালিত, কুনাল সাহা প্রমুখ। তাছাড়া বৃন্দগানের তালিকায় ছিল সমকাল ও স্বরলিপি সাংস্কৃতিক সংস্থা।শিল্পীদের তবলায় সঙ্গত করেন বিশ্বজিত দেব, অক্টোপ্যাডে মনোতোষ দাস এবং সিন্থেসাইজারে হৃষীকেশ চক্রবর্তী।
রবিবার পয়লা জানুয়ারিও ছিল একই ধাঁচের অনুষ্ঠান। আসরে উপস্থিত ছিলেন উপত্যকার আমন্ত্রিত শিল্পীদের পাশাপাশি ‘বিশিষ্ট’ বা ‘প্রতিষ্ঠিত’ শিল্পীদের দলীয় ও একক অনুষ্ঠানে সব মিলিয়ে গান গাইলেন ১৫২ জন গাইয়ে। এবারও প্রাধান্য দেওয়া হয় বরাকের বিভিন্ন স্থানের শিল্পীদের। রবিবার দু’দিনের আসর শেষ হয় সঞ্জয় বাউল পরিবেশিত অনুষ্ঠান দিয়ে। অনুষঙ্গ হিসেবে এবারও মেলা চত্বরে ছিল রকমারি স্টল, খাবার-দাবার। এদিন মদনমোহন আখড়ার তরফে সবার জন্য ছিল খিচুড়ি ভোজনের বন্দোবস্ত।