ক্রীড়া প্রতিবেদন, শিলচর, ১৯ ডিসেম্বর : দুদিনের ক্লাসিক দাবা ওপেন প্রতিযোগিতা রবিবার শিলচর ইটখলা আর্যপট্টির এনপাসেন্ট চেস স্কুলে শেষ হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে ৬ রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এর শিরোপা লাভ করেছেন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বেশি রেটেড প্লেয়ার সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৫ প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করে আসা অনির্বাণ দাস (৫.৫) । অপ্রত্যাশীতভাবে রেটেড খেলোয়াড় নিখিল কুমার (৪), গীতিকা কুমারী (৩.৫), ইমন নাগ (২) মনোদ্বীপ ধর (৩.৫), অভিজিৎ বড়ভূঁইয়া (৩.৫), কৌস্তুভ রায় (২.৫), আদর্শ দেবনাথ (৪.৫) দের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় হয়েছেন মৃন্ময়ী ধর (৪.৫)। সারা আসাম অনূর্ধ্ব নয় দাবায় চতুর্থ স্থানাধিকারী আদর্শ দেবনাথও (৪.৫) যথেষ্ট ভালো ফল করেছেন।দাদা দিদিদের পিছনে ফেলে তিনি লাভ করেছেন তৃতীয় স্থান।প্রতিযোগিতাটি এতই প্রতিযোগিতামূলক ছিল যারা প্রথম দিন ছিলেন এগিয়ে, দ্বিতীয় দিন পড়ে যান পিছনে। ছয় রাউন্ডের খেলায় প্রথম দিন প্রথম দুয়ে ছিলেন ৩ রাউন্ডের পর শুভ্রদীপ রায় ও নিখিল কুমার। নিখিল (৪) ও শুভ্রদীপকে (৩.৫) সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান নিয়ে। ষষ্ঠ থেকে ১৭ তম স্থান লাভ করেছেন যথাক্রমে গীতিকা কুমারী (৩.৫), অভিজিৎ বড়ভূঁইয়া (৩.৫), মনদীপ ধর (৩.৫), অর্ণব দেবনাথ (৩.৫), সুব্রত চক্রবর্তী (৩), অর্পিত শর্মা (৩), কৌস্তুভ রায় (২.৫), অভিনব দেব (২.৫), ইমন নাগ (২), ভারগব দেবনাথ (২), অর্ণব পাল (২) এবং অরিন্দম সী (১)। প্রথম ১০ জনকে ট্রফি ও শংসাপত্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়।আরও সাতজনকে দেওয়া হয় শংসাপত্র ও পদক।
রবিবার সন্ধ্যায় দীপ্তি দাসের সভাপতিত্বে ও মনোতোষ ধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য চক্রবর্তী, চেস প্লেয়ার পেরেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমিত রায়, শিলচর হেল্পিং এইড এনজিওর সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস, সাংবাদিক উত্তমকুমার সী, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী পিনাকী দে, কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তথা নর্থ ইস্ট চেস নিউজ ইউটিউব চ্যানেলের সম্পাদক দীপ দাস প্রমুখ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রত্যেকেই দাবার প্রসার বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। শিলচরের দাবা খেলোয়াড়দের গুণগতমান যথেষ্ট ভালো বলেও উল্লেখ করেন তারা। সম্প্রতি নর্থ ইস্ট দাবায় ও অনূর্ধ্ব ১৩ জাতীয় দাবায় ভালো ফল করার জন্য শিলচরের দুই খুদে দাবারু স্নেহাল রায় ও অভ্রজ্যোতি নাথকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং তাদের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধিও কামনা করা হয়েছে।প্রতিযোগিতা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য মানপত্র ও সাম্মানিক দিয়ে সম্মান জানানো হয় আরবিটার স্নেহাশীষ দাসকে। তাকে সম্মাননা তুলে দেন পেরেন্টস অফ চেস প্লেয়ারের পক্ষে সুশংকর দেবনাথ ও অক্ষয় কুমার। অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করতে কৌশিক রায়, অমল দেবনাথ, অভিজিৎ পাল, আশীস নাগ, জয়শ্রী বড়ভূঁইয়া প্রমুখের ভূমিকাও ছিল চোখে পড়ার মত। প্রতিযোগিতার সাতটি পদক দেওয়া হয় শিলচর হেল্পিং এইড এনজিওর পক্ষ থেকে। পেরেন্টস অব চেস প্লেয়ার এর উদ্যোগে ও এনপাসেন্ট চেস স্কুলের পরিচালনায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।