অনলাইন ডেস্ক : অসমে প্রতি কুইন্টাল ৫,৪৫০ টাকা ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরষে কিনবে রাজ্য সরকার। এছাড়া এখন থেকে অসমের দুগ্ধ উৎপাদকরা প্রতি লিটার দুধে ৫ টাকা করে সরকারি ভরতুকি পাবেন, আজ বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
বুধবার জনতা ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও পশু সম্পদ দফতরের মন্ত্রী অতুল বরাকে পাশে বসিয়ে এই দুই বড় ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, রাজ্যের ১০১টি ক্রয়-কেন্দ্র থেকে কৃষকদের কাছ থেকে অসম সরকার প্রতি কুইন্টাল ৫,৪৫০ টাকার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি)-এ সরষে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ধান সংগ্রহের পর আমরা এখন সরষে সংগ্রহের আরেক উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সকল সরষে চাষিদের কাছে তাঁদের উৎপাদিত ফসল সরকারি ক্রয়-কেন্দ্রে বিক্রি করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সরকার যে সরষে সংগ্রহ করবে তা নাফেড (এনএএফইডি)-এর কাছে বিক্রি করা হবে। তার পর আমরা নাফেডকে যাঁদের কাছ থেকে সরষে সংগ্রহ করেছি তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেব। সুবিধাভোগী কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে সরাসরি তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি কুইন্টালে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের ৫,৪৫০ টাকা জমা হয়ে যাবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে আমরা ধান ক্ৰয়ের পাশাপাশি সরষে কেনার বিষয় ধার্য করছিলাম৷ প্ৰতি কুইন্টাল সরষে ৪,৫০০ টাকা করে বাজারে বিক্ৰি হয়৷ আমরা কিনব ৫,৪৫০ টাকা করে।’ শর্মা বলেন, কৃষকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং সরষে চাষকে উৎসাহিত করার জন্য অসম সরকার নোডাল এজেন্সির মাধ্যমে ১০১টি মনোনীত কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সরষে বীজ সংগ্রহ করবে। রাজ্যস্তরের সংস্থাগুলি অসম রাজ্য কৃষি পর্ষদ এবং অসম খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ নিগমের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থা এনএএফইডি-র মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, সরষে কেনার জন্য পৃথক কেন্দ্ৰ খোলা হবে না৷ ৯২টি ধান ক্ৰয়-কেন্দ্ৰ সহ মোট ১০১টি ক্রয়-কেন্দ্রে কৃষকরা সরষে বিক্ৰি করতে পারবেন। এবার ৫৮ হাজার কৃষকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্ৰিক টন ধান সরকার কিনেছে। কারবি আংলং এবং ধেমাজিতে ধান খেত এবার বেশি হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকরা সরষে খেত বেশি করেন, এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা বলেন, ‘হেলিকপ্টারে যখন যাই, তখন লখিমপুর, ধেমাজির বিস্তীর্ণ এলাকা হলুদ রঙে রঞ্জিত দেখে খুব উৎফুল্লিত হই।’
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দুগ্ধ উৎপাদকদের জন্যও সুখবর শুনিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, রাজ্যের দুগ্ধ উৎপাদকরা শীঘ্রই সরকারি সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। এখন থেকে দুগ্ধ উৎপাদকরা প্রতি লিটার দুধে ৫ টাকা করে সরকারি ভরতুকি পাবেন।
এদিকে সাংবাদিকদের অন্য জিজ্ঞাসার উত্তরে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য কাউন্সিল এখনও প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তাই বিলম্ব হচ্ছে, প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবেব। বলেন, কাউন্সিলকে তিনি চাপ দিতে চান না। চাপ দিলে তাড়াহুড়ো করে ভুলভাল রেজাল্ট প্রকাশ করবে কাউন্সিল।