অনলাইন ডেস্ক : প্রতিবেশী কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালানোর দরুন শিলচর কাঁঠাল রোডের এক দোকানী নেপাল রায়(৩৮)কে ২০ বছর সশ্রম কারাবাসের সাজা শোনালো আদালত। শুক্রবার কাছাড়ের স্প্যশাল জাজ(পক্সো ) তসফিয়া হোসেনের আদালত নেপালকে এই সাজা শোনায়।
ঘটনা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের। কাঁঠাল রোডে নেপালের একটি পোলাওয়ের দোকান রয়েছে, সেখানেই তার বাড়ি। নির্যাতিতা কিশোরী তার প্রতিবেশী। ৯ নভেম্বর কিশোরীর মা তার বছর ১৩-র মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে নেপালের বিরুদ্ধে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এজাহার দায়ের করেন। তবে দিন কয়েক পর নেপাল নিজে থেকেই কিশোরীকে নিয়ে হাজির হয় । তখন পুলিশ কিশোরীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে সে জানায়, করিমগঞ্জের এক গ্রামে সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ওই বাড়ির লোকেদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে নেপালেরও। সেই সূত্রে নেপাল সেখানে হাজির হয়। দিন কয়েক ওই বাড়িতে কাটানোর পর একদিন নেপাল তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এরপর নিয়ে আসে শিলচরে। শিলচরে যখন পৌঁছে তখন অনেকটাই রাত হয়ে যায়। বাহানা করে নেপাল তাকে নিয়ে যায় ঘুঙ্গুর এলাকার এক হোটেলে। ওই হোটেলে খাবার খেয়ে নেপাল একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। হোটেলের কক্ষে যাওয়ার পর নেপাল বলপুর্বক তার উপর চরিতার্থ করে পাশবিক বাসনা। পরদিন তাকে নিয়ে যায় কাঁঠাল রোডে বাড়ির এলাকায়।
কিশোরীর বক্তব্য শোনা সহ তদন্তের আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সেরে পুলিশ আদালতে পেশ করে চার্জশিট। আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। এতে নেপালকে পক্সো অ্যক্টের ৬ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শোনানোর সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায় তাকে ভোগ করতে হবে আরো ২ মাস কারাদণ্ড।
নেপাল সম্পর্কে জানা গেছে সে বিবাহিত এবং ওই কিশোরীর থেকে বড় তার ছেলেও রয়েছে। আদালত তাকে কারাবাসের সাজা শোনানোয় সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী।