অনলাইন ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে ড্রাগসের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করছে কোটি কোটি টাকার মাদক দ্রব্য। সেই সঙ্গে আটক করা হয়েছে অজস্র সরবরাহকারীকে। কিন্তু তারপর ও বন্ধ হয়নি মাদক দ্রব্য সরবরাহ। অনান্য প্রান্তের মত অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তের কার্বি-আংলং জেলার মধ্য দিয়ে অব্যাহত আছে মাদক দ্রব্য সরবরাহ। প্রায় প্রতিদিনই কার্বি-আংলং জেলার মধ্য দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে ড্রাগস তথা মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে আসছে সরবরাহকারীরা। পুলিশর নিশ্ছিদ্র তল্লাশি অভিযানের মধ্যে ও অনায়াসে ড্রাগসের ব্যবসা অব্যাহত আছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সোমবার রাতে নতুন কৌশলে ড্রাগস সরবরাহ করার চেষ্টা করে পুলিশ এবং সিআরপিএফের জালে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের এক ড্রাগস সরবরাহকারী। সোমবার রাতে এক গোপন সুত্রের খবরের ভিত্তিতে ডিলাই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নেতৃত্বে সিআরপিএফের সহযোগিতায় ডিলাই তিন আলিতে নাকা চেকিং বসানো হয়। ওই নাকা চেকিংয়ে ডিমাপুরের দিক থেকে আসা পশ্চিমবঙ্গের পঞ্জীয়ন ভূক্ত ডব্লিউ বি ১৬ এভি নম্বরের আইটেন গাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ীটির নম্বর প্লেটের কাছে গোপন কক্ষ তৈরি করে লুকিয়ে নিয়ে আসা অবস্থায় এক কেজি সন্দেহযুক্ত মরফিন বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হওয়ার পাশাপাশি গাড়ীর চালক পশ্চিমবঙ্গের মঃ ইসমাইলের পুত্র নুর মহম্মদকে পুলিশ আটক করে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মরফিনের বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মরফিন গুলি বোকাজান মহকুমার এসডিপিও জন দাসের উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এদিকে ধৃত ড্রাগস সরবরাহকারীকে ডিলাই থানায় রেখে পুলিশ জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।