অনলাইন ডেস্ক : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)র সদস্যরা বর্তমানে অন্যান্য সংগঠনের ব্যানারে জেহাদি কার্যকলাপ চালাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কর্নাটকে এস ডি পি আই নামে এমন এক সংগঠনের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় অসমও। এরাজ্যও সংগঠনটির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে একইভাবে। এরমধ্যে কাছাড়ের কাটিগড়ার পাঁচজনের নাম নিয়েও শুরু হয়েছে বিশেষ চর্চা।
গত বছর সরকার পিএফআইকে যখন নিষিদ্ধ করে তখনই জানা যায় কাটিগড়ার বাসিন্দা পাঁচ সদস্যের নাম । এদের দৌলতে কাটিগড়ায় সংগঠন জাল বিস্তার করেছিল অনেকটাই। পুলিশ এদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে ধরপাকড়ের চেষ্টা শুরু করলে পাঁচজনই এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দেয়।এই পাঁচজনের মধ্যে কাটিগড়া তৃতীয় খন্ড লাঠিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এক যুবক সংগঠনের কাটিগড়া শাখার সভাপতি। তার নামের পাশে সে কোনও পদবী ব্যবহার করেনা, লিখে থাকে শুধু রহমান। আর রাজাটিলা হরিনগর এলাকার লস্কর পদবীর এক যুবক কাটিগড়া শাখার সম্পাদক। অন্য তিনজন হলো সাধারণ সদস্য। এর মধ্যে বড় ভূঁইয়া ও লস্কর পদবীর দুজন লাঠিমারারই বাসিন্দা, চৌধুরী পদবীর অন্যজনের বাড়ি জগদীশপুর পঞ্চম খন্ডে।
জানা গেছে বড়ভূইয়া পদবীর যুবকটি মাঝে মাঝে অরুনাচল প্রদেশেও যাতায়াত করে থাকে। এদের জালে পুরতে পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা চালালেও এপর্যন্ত নাগালে পাওয়া সম্ভব হয়নি। আর বর্তমানে পিএফআই ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে জেহাদি কার্যকলাপ চালাতে সক্রিয় হয়ে ওঠার খবর পেয়ে এদের সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে আরও জোরালয়ে।
এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর কাটিগড়ার পাঁচজনের মতো রাজ্যের অন্যান্য অংশের পিএফআই সদস্যরাও অন্যত্র গিয়ে গা ঢাকা দেয়। তবে বর্তমানে এদের অনেকেই রাজ্যে ফিরে এসেছে। এবং কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যের মতো এরাজ্যেও ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাসমূহে গিয়ে বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে উস্কানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে। সংবাদ সংস্থার খবরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ রাজ্যে ধুবড়ি, করিমগঞ্জ, মানকাচর, দক্ষিণ শালমারা, দরং, দক্ষিণ কামরূপ, নগাও এবং মরিগাঁও জেলায় পিএফআই সংগঠনের জাল অনেকটাই ছড়িয়ে ফেলেছিল। এবার সংগঠনের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে ফের সক্রিয় হয়ে উঠার তথ্য পেয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি।