অনলাইন ডেস্ক : শিলচর শহরের ঐতিহ্যবাহী কাছাড় কলেজে রয়েছে ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা তবে এগুলোর মাধ্যমে আজকাল আর কিছুই রেকর্ড হয় না, কেননা সিস্টেমের মেমোরি ভর্তি হয়ে আছে এবং নতুন মেমোরি কেনা হচ্ছে না। সিসিটিভি অকেজো থাকায় কলেজ চত্বরে যখন-তখন চুরি হচ্ছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক উভয়পক্ষই। মঙ্গলবার এই বিষয় সহ আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখে ছাত্রছাত্রীরা।
তারা জানায়, নির্ধারিত মাশুল জমা দেওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ইউনিফর্ম পাচ্ছে না ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী। ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কলেজের চুরি হচ্ছে এবং অর্থশাস্ত্র বিভাগের এক অধ্যাপকের জালিয়াতির খবরে ছাত্রসমাজে মুখ দেখাতে পারছে না তারা, এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর নাথ সহ অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ঘেরাও করে তারা।
প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে এই ঘেরাও এবং অধ্যক্ষ বাধ্য হয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি দাবি আগামীতে গভর্নিং বডির বৈঠকে তোলা হবে এবং সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানিয়েছেন ইউনিফর্ম এবং আইডেন্টিটি কার্ড অতিসত্বর ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া ব্যবস্থা হবে। সিসিটিভি নিয়ে বেশ জটিল সমস্যা রয়েছে এবং তিনি অতীতের বিভিন্ন ঘটনায় মর্মাহত, তবে এব্যাপারেও গভর্নিং বডির সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ছাত্রদের তরফে আরিয়ান রায় বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পরীক্ষা চলাকালীন আমাদের এক সহপাঠীর মোবাইল চুরি হয় এবং আমরা যখন সিসিটিভি দেখতে যাই, বলা হয় মেমোরি ফুল হয়ে আছে তাই কোনও রেকর্ড দেখা যাবে না। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বললে তারা উল্টো আমাদের বলেন, মোবাইল নিয়ে কলেজে কেন এলাম। সারাবছর শিক্ষকরা মোবাইলের সাহায্যে আমাদের পড়াচ্ছেন। এমনকি প্রয়োজনীয় নোট হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে দেওয়া হয়। তারা সিসিটিভি অকেজো করে রেখেছেন এবং এর দায় আমাদের ওপর চাপাতে চাইছেন।’ অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর নাথকে এব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কলেজে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে আমরা কয়েক বছর আগে সিসিটিভি লাগিয়েছিলাম এবং এনিয়ে বহু ঝামেলা হয়েছে। তবে এবার ছাত্রছাত্রীরা যেহেতু দাবি জানিয়েছে, আমরা আগামী গভর্নিং বডির বৈঠকে কথাটি তুলবো। ইউনিফর্মের ব্যাপারেও একই ধরনের ঝামেলা হয়েছে এবং কলেজের একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ছাত্রছাত্রীরা সেটা পায়নি। আমরা এই সমস্যা অতি সত্তর মেটাবো এবং তাদের ইউনিফর্ম ও আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে।’