অনলাইন ডেস্ক : ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের সূত্র ধরে কাছাড়ে অদল বদল ঘটছে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রেরও। এক আসনের কিছু ভোট কেন্দ্র চলে যাচ্ছে অন্য আসনের এলাকায়। এ ছাড়া নতুন করেও কিছু ভোটকেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার সাতটি বিধানসভা আসনের আওতাধীন এলাকায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৬৪ থেকে আরও ৮৯ টি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৫৫৩।
জানা গেছে সম্প্রতি শিলচরে জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটকেন্দ্র অদল বদল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা, নির্বাচন আধিকারিক বিভাস মেধি দুই বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও কৌশিক রাই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তা দুলাল মিত্র, সামিনুল হক বড়ভূঁইয়া ও শশাঙ্ক শেখর পাল সহ অন্যান্যরা। খবর অনুযায়ী সব মিলিয়ে জেলায় ৮৯ টি ভোট কেন্দ্র বাড়লেও শিলচর বিধানসভা এলাকায় কমেছে ২২ টি। পুরানো বিধানসভা এলাকার ভিত্তিতে শিলচরে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৫৫, নতুন তালিকায় তা কমে হয়েছে ২৩৩। আর ধলাইয়ে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২০৬, নতুন তালিকায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা রয়ে গেছে একই । অন্য পাঁচটি বিধানসভা এলাকায় বেড়েছে আসনের সংখ্যা। এই পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৫টি ভোটকেন্দ্র বেড়েছে বড়খলায়। বড়খলায় আগে যেখানে ছিল ১৭৬ টি ভোট কেন্দ্র সেখানে তা বেড়ে হচ্ছে ২৪১। সোনাইয়ে ২১৯ থেকে ৫ টি ভোটকেন্দ্র বেড়ে হচ্ছে ২২৪, কাটিগড়ায় ২১৯ থেকে ২৮টি বেড়ে হচ্ছে ২৪৭, উধারবন্দে ১৯৬ থেকে ৯ টি বেড়ে হচ্ছে ২০৫ এবং লক্ষ্মীপুরে ১৯৩ থেকে ৪ টি ভোটকেন্দ্র বেড়ে হচ্ছে ১৯৭।
সাতটি বিধানসভা আসন এলাকায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমা- বাড়া সহ আসন গুলোর নম্বর বদলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ৯ নম্বর শিলচর বিধানসভা আসনের নতুন নম্বর হচ্ছে ১১৮, ১০ নম্বর সোনাইয়ের ১১৯, ১১ নম্বর ধলাইয়ের ১২০,১২ নম্বর উধারবন্দের ১১৫, ১৩ নম্বর লক্ষীপুরের ১১৪, ১৪ নম্বর বড়খলার ১১৭ এবং, ১৫ নম্বর কাটিগড়ার নতুন নম্বর হচ্ছে ১১৬।
প্রশাসনের এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে নতুন করে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এবং স্থান নির্ধারণের পর বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কিছু কিছু কেন্দ্র অদল বদল নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। যদিও যেসব ভোটকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি উঠেছে সেসবের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আপত্তি উপায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ফের ব্যাপারটা পর্যালোচনা করে দেখতে বলা হয়েছে। এক ভিত্তিতে শীঘ্রই চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে তালিকায়।