অনলাইন ডেস্ক : বরাক উপত্যকার প্রবেশদ্বার রেলশহর হিসেবে পরিচিত বদরপুরকে করিমগঞ্জ থেকে কেটে কাছাড় জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয় গত ৩১ ডিসেম্বর।এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বদরপুর ব্লক কংগ্রেস কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বদরপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাকারিয়া আহমদ পান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করা হয়।সভাপতি জাকারিয়া আহমদ পান্না বলেন,বদরপুর ব্লক কংগ্রেস কমিটি সব সময় বদরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের যে কোনও বিপদে পাশে আছে।জাকারিয়া সহ উপস্থিত বক্তারা বলেন,বদরপুর শহর থেকে করিমগঞ্জ জেলা সদরের দূরত্ব গড়ে ২৪ কিলোমিটার।অথচ বদরপুর শহর থেকে শিলচরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার।সার্কেল অফিস যেখানে ২কিলোমিটার সেখানে ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাটিগড়ায় যেতে হবে।এতে প্রশাসনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা কীভাবে সুগম হবে এই প্রশ্ন তুলে জাকারিয়া আরও বলেন,বদরপুরের বহু পুরনো ঐতিহ্য রয়েছে। রয়েছে সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়,মহাবিদ্যালয়,বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজ।বদরপুরে রয়েছে কাছাড়ি রাজার রাজধানীর ঐতিহাসিক দুর্গ।রয়েছে বরাক উপত্যকার সর্ববৃহৎ রেলওয়ে জংশন।কিন্তু এখন বদরপুর বিধানসভা তথা বদরপুর শহরের ইতিহাস বিলীন হয়ে যাচ্ছে।এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়,সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।বদরপুরের সুশীল সমাজ,বিভিন্ন এনজিও-র সঙ্গে আলোচনাক্রমে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে।তিনি এ ব্যাপারে বদরপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।সভায় সভাপতি জাকারিয়া আহমদ পান্না ছাড়াও বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস উপ সভাপতি আসুক উদ্দিন, বদরপুর শহর মণ্ডল সভাপতি সুকুমার ঘোষ, বয়ানুল হক চৌধুরী, করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলম বেগ, ব্লক কংগ্রেসের উপ সভাপতি সফরুল ইসলাম, বিজয় দত্ত, মলয় দত্ত, ধনঞ্জয় পাল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বদরপুর যুব কংগ্রেস,এনএসইউআই, সেবাদল ইয়ং ব্রিগেড সহ বিভিন্ন মণ্ডল কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিরা।