অনলাইন ডেস্ক : সোনা চুরির ঘটনায় পুলিশ পাকড়াও করলো তিনজনকে। এই তিনজনের মধ্যে দুজন নাবালক। দুই নাবালকের মধ্যে একজনের পদবী চক্রবর্তী, বাড়ি শিলচর অন্নপূর্ণা ঘাট এলাকায়। দ্বিতীয়জন তার বন্ধু রায় পদবীর নাবালক ধলাইয়ের বাসিন্দা। তৃতীয়জন রাজ বর্মন নামে যুবক পেশায় জুয়েলারির কর্মী, বাড়ি শিলচর তারাপুর শিববাড়ি রোডে।
জানা গেছে গত ১৭ আগস্ট চক্রবর্তী পদবীর নাবালক অন্নপূর্ণা ঘাট এলাকারই বাসিন্দা তার কাকিমার গলার সোনার হার ও হাতের বালা চুরি করে। এরপর দাস পদবীর বন্ধুকে সঙ্গী করে তা বিক্রি করে দেয় রাজীব বর্মনের কাছে। রাজীব বর্মন পঞ্চায়েত রোডের এক জুয়েলারির কর্মী।
সোনার হার ও বালা চুরির পর এ নিয়ে এজাহার দায়ের করা হয় থানায়। এর ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ তদন্ত চালায়। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে চুরি করেছে মহিলার নাবালক ভাসুরপোই। এরপর তার সূত্র ধরে পাকড়াও করা হয় বন্ধু রায় পদবীর নাবালক ও জুয়েলারি কর্মী রাজীব বর্মনকে।
পুলিশের এক সূত্র জানান, কাকিমার স্বর্নালংকার চুরির পর চক্রবর্তী পদবীর নাবালক রায় পদবীর বন্ধুকে নিয়ে রাজীব বর্মনের কাছে যায়। রাজীব স্বর্নালংকারগুলো গলিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এর বিনিময়ে ৭৬ হাজার টাকা পেয়ে দুই নাবালক ও রাজীব মিলে ভাগাভাগি করে নেয়। পুলিশ তিনজনকে পাকড়াও করার সঙ্গে সঙ্গে গলানোর পর বিক্রি করে দেওয়া সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছে।