অনলাইন ডেস্ক : আগামীকাল মঙ্গলবারের বরাক বনধকে সফল করে তুলতে আহ্বানকারী সংগঠনগুলো বর্তমানে শেষ পর্বে জোর তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বনধকে ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশেরও তৎপরতার যেন শেষ নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপারটাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যে, এদিন গুয়াহাটি থেকে ছুটে এসেছেন আইজি (ট্রেনিং এন্ড আর্ম) অখিলেশ সিং।
জানা গেছে এদিন শিলচরে পৌঁছে আইজি সিং পুলিশের দক্ষিণ অসম রেঞ্জের ডিআইজি কঙ্কন জ্যোতি শইকিয়া, পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো সহ বিভাগীয় অন্য আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে পিকেটার্সদের মোকাবিলার পন্থা -পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসবের পাশাপাশি রবিবারের মতো এদিনও বিকেলে শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে লং মার্চ ( লং রুট পেট্রোলিং) বের করা হয়। সদর থানা থেকে শুরু করে নাজির পট্টি, অম্বিকাপট্টি, আশ্রম রোড, চিরুকান্দি, রামনগর ও তারাপুর পরিক্রমা শেষে লংমার্চ এসে শেষ হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে।
এসবের পর পুলিশের গাড়ি করে মাইকযোগে শহরজুড়ে আগামীকাল বনধের দিন যাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বহাল থাকে এনিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে প্রচার চালানো হয়। পুলিশের এক সূত্র বলেন, আগামীকাল বনধের সময়সীমায় জোর করে দোকানপাট বা অফিস আদালত বন্ধ করা সহ যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে কড়া হাতে তা দমন করা হবে।
এদিকে আগামীকাল বনধের দিন সরকারি কর্মী- আধিকারিকদের তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন বিভাগের কর্তৃপক্ষও নিজেদের কর্মী এবং অধস্তন আধিকারীকদের কাছেও এনিয়ে কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্দেশে বলা হয়েছে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে, কোনও স্কুল বন্ধ পাওয়া গেলে একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে। আর কোনও বনধ সমর্থনকারী স্কুল বন্ধ করার চেষ্টা চালালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।