অনলাইন ডেস্ক : কর্ণাটকে শোচনীয় পরাজয়ের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। এবার গেরুয়া শিবিরকে তিনকথা শুনিয়ে দিলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক । বিজেপির বিপর্যয় নিশ্চিত হতেই ফের জোরালো হয়ে উঠছে বিকল্প জোট গঠনের ভাবনা। কংগ্রেস জিততেই ফের যেন এককাট্টা বিরোধীরা। এমনকী এতদিন বিজেপি এবং বিরোধী শিবির থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখছিলেন যে নবীন পট্টনায়েক, তিনিও ঘুরিয়ে বিজেপির দিকে তির ছুঁড়ে দিলেন। বলে দিলেন, ‘সরকার ডবল ইঞ্জিন নাকি সিঙ্গল ইঞ্জিন, সেটা কোনও ব্যাপারই নয়। ভাল প্রশাসনটাই আসল।’
আসলে কর্ণাটকের পাশাপাশি ওড়িশার একটি আসনে উপনির্বাচনেরও ফল প্রকাশ হয়েছে শনিবার। ওই আসনটিতে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন পট্টনায়েকের দল বিজেডির প্রার্থী। জয়ের পরই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন,”সরকার সিঙ্গল ইঞ্জিনের নাকি ডবল ইঞ্জিনের, সেটা মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শুধু সুশাসন। সবসময় সুশাসনেরই জয় হবে।” পট্টনায়েকের এই মন্তব্য যে ঘুরিয়ে বিজেপিকে তোপ তাতে কোনও সংশয় নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণও বটে। কারণ কিছুদিন আগেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার । ওড়িশার শাসকদলকে বিরোধী শিবিরে শামিল করার একটা চেষ্টা যে হচ্ছে, তাতে সংশয় নেই। তবে নবীন অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল লোকসভায় একা লড়বে। কিন্তু ভোটের পর তিনি কোন শিবিরে যোগ দেবেন, তার খানিকটা ইঙ্গিত হয়তো এদিনের মন্তব্যে পাওয়া গেল।কর্ণাটকে বিজেপির পরাজয়ের পর প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, শিব সেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা সঞ্জয় রাউত-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা একযোগে বিজেপি বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছেন। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল আগামী ২৮ মে দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। বিভিন্ন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সে সময় দিল্লিতে উপস্থিত থাকবেন। সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময়ই ঠিক হয়ে যেতে পারে আগামী দিনের বিরোধী জোটের রূপরেখা।