সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ২৭ ডিসেম্বর : প্রতিবেশী দেশ চিনে ফের ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে করোনা।আর সে দেশ থেকে ফেরত কয়েকজনের শরীরেও ধরা পড়েছে সংক্রমণ৷এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কাছাড়েও বিভিন্ন হাসপাতালে ‘মক ড্রিল’-এর আয়োজন করা হয়৷পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলে তা সামাল দিতে কি ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে, তার মহড়া দেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা৷
জেলায় এদিন ‘মক ড্রিল’ হয়েছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতাল সহ মোট ৫৩টি হাসপাতালে। এর মধ্যে রয়েছে কালাইন পিএইচপি, কাটিগড়া মডেল হসপিটাল, চিবিটাবিচিয়া মডেল হসপিটাল, ছোট দুধপাতিল মডেল হসপিটাল, কচুদরম মডেল হসপিটাল, পালংঘাট মডেল হসপিটাল ও টিকল শালগঙ্গা মডেল হসপিটাল সহ ৩৪টি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং ১০টি বেসরকারি হাসপাতালে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসনের তরফে নোডাল অফিসার হিসেবে ছিলেন জেলাশাসক রোহণকুমার ঝা এবং সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক আশুতোষ ডেকা। অন্যান্য হাসপাতালে নোডাল অফিসার হিসেবে ছিলেন সার্কল অফিসার, বিডিও সহ অন্যান্য স্তরের আধিকারিকরা। প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শয্যার ব্যবস্থা, অক্সিজেনের যোগান ব্যবস্থা সহ আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখেন নোডাল অফিসাররা। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা করোনা রোগীরা চিকিৎসার জন্য এলে কিভাবে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হবে, তাও হাতে-কলমে করে দেখান।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা: আশুতোষ বর্মন জানান, এদিনের ‘মকড্রিল’ সন্তোষজনকভাবেই শেষ হয়েছে। ফের জেলায় করোনা রোগ ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে বলেই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। ডা: বর্মন আরও জানান, জেলায় এই মুহূর্তে কোনও করোনা রোগী নেই। গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষবারের মতো একজনের শরীরে ধরা পড়েছিল সংক্রমণ। তবে এই মুহূর্তে কোনও করোনা রোগী না থাকলেও জেলাবাসীকে সতর্ক হয়ে চলাফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।