অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জ জেলাকে শৈক্ষিক,বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব পালন করতে হবে করিমগঞ্জ কলেজের মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। সুদীর্ঘ ৭৫ বছরের ইতিহাসকে সম্বল করে এগিয়ে যেতে হবে সুন্দর ভবিষ্যতের পথে। করিমগঞ্জ কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলি উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড.রনোজ পেগু। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন রাজ্য সরকারের তরফে কলেজের আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন (ন্যাক)স্বীকৃতি বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে করিমগঞ্জ কলেজকে রাজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা পাথারকান্দি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। রাজ্য পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস, দুই বিধায়ক বিজয় মালাকার ও কৃষ্ণেন্দু পালের একান্ত অনুরোধ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের হয়ে অধ্যক্ষ ড.রামানূজ চক্রবর্তীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে শুক্রবার করিমগঞ্জ কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলির সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছুটে আসেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড.রনোজ পেগু।কলেজ প্রেক্ষাগৃহে প্রদীপ প্রজ্বলন করে প্ল্যাটিনাম জুবিলির ত্রিদিবসীয় সমাপনী অনুষ্ঠানে শেষদিনের সূচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। উৎসব উদযাপন সমিতির সভাপতি ড.মৃণাল কান্তি দত্তের পৌরহিত্যে আয়োজিত সভায় উদযাপন সমিতির সম্পাদক তথা কলেজ অধ্যক্ষ ড.রামানূজ চক্রবর্তী স্বাগত বক্তব্যে করিমগঞ্জের ইতিহাস তুলে ধরে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স সহ কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমোদনক্রমে পরিচালিত কিছু বি সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন কলেজ অধ্যক্ষ।
অন্যদিকে প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্য পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন করিমগঞ্জ কলেজ থেকে কম ছাত্র সংখ্যা থাকা উপত্যকার বহু কলেজ পরিকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে গেছে।ঐতিহ্যবাহী করিমগঞ্জ কলেজের ছাত্ররা উচ্চতর মাধ্যমিক থেকে স্নাতকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে কিন্তু কলেজের পরিকাঠামো তেমনভাবে উন্নত হচ্ছে না।এমনকি কলেজ প্রেক্ষাগৃহে অল্প বৃষ্টিতে জল প্রবেশ করে।ফলে প্রেক্ষাগৃহটি সংস্কারে আর্থিক সহায়তা প্রদানে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন মিশন বাবু। প্রাক্তন ছাত্র তথা পাথারকান্দি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভে জন্য সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।কারণ পড়াশোনার বিকল্প নেই।রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং শিক্ষামন্ত্রী ড.রণোজ পেগু দুজন মিলে রাজ্যের শিক্ষাব্যস্থতার আমূল পরিবর্তন করেছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল।বলেন বিধায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রত্যন্ত পাথারকান্দি এলাকায় নতুন কলেজ স্থাপন এবং বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।ঐতিহ্যবাহী করিমগঞ্জ কলেজকে রাজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি প্রদানের দাবি শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এদিন তুলে ধরেন পাথারকান্দি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড.রণোজ পেগু বলেন যাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি জন্মলাভ করেছে তাদের স্মরণ করা এবং শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে মিলনমেলা গড়ে তোলা।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালনের মধ্যদিয়ে শ্রেষ্ঠ ভারতের পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে তেমনি ৭৫ বছরের ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে হবে করিমগঞ্জ কলেজকে। এক্ষেত্রে প্রাক্তনীদের এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্লাসিটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার কিংবা শিক্ষকতার পেশাকে একমাত্র হিসেবে বেছে নেওয়ার মানসিকতা পরিবর্তনে ছাত্র-ছাত্রীদের পরামর্শ দেন ড.রণোজ পেগু।একইসঙ্গে কলেজের প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার সহ পরিকাঠামো উন্নয়নে কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড.রণোজ পেগু জানিয়ে দেন রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন কলেজে আর্থিক অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যাক অ্যাক্রিডিটেশন বাধ্যতামূলত।ফলে ন্যাকের মূল্যায়নের পর পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। অন্যান্যদের মধ্যে করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালাহ,জেলাশাসক মৃদুল যাদব,পুরপতি রবীন্দ্র দেব সহ এদিন প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন।